ফিটনেস আর বয়স বিবেচনায় নিজের সেরা সময় পার করে এসেছেন রাফায়েল নাদাল। তারপরও, নোভাক জোকোভিচের সঙ্গে লড়াইটা জমজমাট হবে বলেই ধারণা ছিল সবার। কিন্তু রোলাঁ গাঁরোয় সমর্থকদের হতাশ করলেন। পরপর দুই সেটে হেরে গেছেন নাদাল। প্রথম সেটে ৬-১ গেমে হারের পর দ্বিতীয় সেটে দুর্দান্ত কামব্যাক করেও স্প্যানিশ তারকা হেরেছেন ৬-৪ গেমে। এতে প্যারিস অলিম্পিকের টেনিস একক থেকে বিদায় নিয়েছেন নাদাল। তৃতীয় রাউন্ডে উঠে গেছেন জোকোভিচ।
চোট সারিয়ে কোর্টে ফিরলেও এখনও ফর্মে ফিরতে পারেননি নাদাল। সোমবার পুরনো নাদালের কিছু ছোঁয়া দেখা গেলেও, কখনও মনে হয়নি তিনি জোকোভিচকে হারিয়ে দিতে পারবেন। যে সুরকির কোর্টে নাদালকে রাজা বলা হয়, যে কোর্টে ১৪ বার ফরাসি ওপেন জিতেছিলেন তিনি, সেই কোর্টেই হেরে গেলেন জোকোভিচের বিরুদ্ধে। এক মাস আগে ফরাসি ওপেনের প্রথম রাউন্ডে হেরে বিদায় নিয়েছিলেন নাদাল। আবার সেই কোর্টে হারতেই মনে করা হয়েছিল নাদাল হয়তো অবসর নেবেন। নাদাল যদিও তেমনটা ভাবছেন না।
ম্যাচ শেষে প্রচণ্ড বিরক্তি নিয়ে নাদাল বলেন, ‘রোজ রোজ একই প্রশ্ন? প্রতিদিন আপনারা চাইছেন আমি অবসর নিই, প্রতিদিন। আমি চেষ্টা করছি প্রতিদিন নিজের সেরাটা দেওয়ার। কিন্তু প্রতিদিন এটা আমার শেষ ম্যাচ ভেবে খেলা সম্ভব নয়। আমি এখানে এসেছি নিজের সেরাটা দিতে। যেদিন অবসর নেব বা অবসর নেওয়ার কথা ভাবব, আমি আপনাদের জানিয়ে দেব। এখন আমি খেলাটা উপভোগ করার চেষ্টা করছি।’
এক ঘণ্টা ৪৩ মিনিটে জোকোভিচের বিরুদ্ধে হেরে যান নাদাল। জোকোভিচ এই প্রতিযোগিতায় এক নম্বর বাছাই। চোটের কারণে দীর্ঘদিন না খেলা নাদাল জানতেন সার্বিয়ার টেনিস তারকাকে হারানো কঠিন হবে। স্পেনের টেনিস তারকা বলেন, ‘একজন খেলোয়াড় অন্য জনের থেকে অনেকটাই ভালো খেলেছে। এটা মেনে নিতে হবে। এই হার মেনে নেওয়া কঠিন ছিল। কিন্তু আমি মেনে নিয়েছি। কারণ আমি জানতাম এমনটা হতে পারে। যে ধরনের টেনিস খেলা প্রয়োজন ছিল তা আমি খেলতে পারিনি। ১৫ বছর আগে আমার পা যে ভাবে চলত, এখন সেটা হয় না। এই অবস্থায় ইতিহাসের সেরা টেনিস খেলোয়াড়কে বিপদে ফেলা কঠিন।’
সিঙ্গেলসে হেরে গেলেও নাদাল অলিম্পিকে এখনও খেলবেন। কার্লোস আলকারাজকে সঙ্গে নিয়ে ডাবলসে খেলবেন তিনি।