টানা দুই ম্যাচে পয়েন্ট হারিয়ে অবশেষে জয়ের দেখা পেল বার্সেলোনা। ঘরের মাঠে আলাভেসকে ৪-১ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছে আরনেস্তো ভালভারদের দল। একটি করে গোল করেছেন লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেস, অঁতোয়ান গ্রিজমান ও আর্তুরো ভিদাল।
রিয়াল সোসিয়েদাদ ও রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে লা লিগায় টানা ড্রর পর আকাঙ্ক্ষিত জয়ে ২০১৯ সাল শেষ করলো বার্সেলোনা। আগামী ৪ জানুয়ারি এস্পানিওলের বিপক্ষে নতুন বছরের প্রথম ম্যাচ খেলবে তারা। এই জয়ে ১৮ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে ৩ পয়েন্ট পেছনে ফেললো রিয়ালকে (৩৬)।
ম্যাচের প্রথম ১০ মিনিটে হতাশ হয়েছিল বার্সা। আর্তুরো ভিদালকে ঠেকান আলাভেস গোলকিপার ফার্নান্দো পাচেকো, অফসাইডে বাতিল হয় মেসির গোল। চার মিনিট পরই সুয়ারেসের পাস প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার জিমো নাভারো ঠেকাতে ব্যর্থ হলে আন্তোয়ান গ্রিয়েজমান লক্ষ্যভেদ করেন।
মেসিও জাদু দেখানউরুগুয়ান স্ট্রাইকারের অ্যাসিস্টে ভিদালের গোলে বিরতিতে বার্সার স্কোর দাঁড়ায় ২-০। বক্সে ঢোকার প্রান্তে আলাভেসের রক্ষণে বাধা পান মেসি, ডানদিকে সুয়ারেসকে খুঁজে পেয়ে বল বাড়ান। বক্সে জায়গা খুঁজে নিয়ে ভিদালকে গোল বানিয়ে দেন উরুগুয়ান তারকা।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামার কিছুক্ষণ পর মেসি প্রতিপক্ষ রক্ষণভাগকে ফাঁকি দিয়ে গ্রিয়েজমানকে বল দেন। চমৎকার ভলিতে লক্ষ্যভেদ করলেও অফসাইডে ছিলেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। তাতে দ্বিতীয়বার জাল খুঁজে পেয়েও উদযাপন করা হয়নি বার্সার।
৫১ মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে দিয়েছিলেন গ্রিজমান। কিন্তু মেসির পাস থেকে করা সে গোল অফসাইডে বাতিল হয়। ৫৬ মিনিটে ম্যাচ জমিয়ে তোলার আশা জাগিয়েছিলেন পেরে পনস। বার্সা রক্ষণের অসতর্কতাকে কাজে লাগিয়ে ব্যবধান কমিয়ে (২-১) আনেন এই মিডফিল্ডার।
৬৯তম মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে ব্যবধান বাড়ান মেসি। চলতি বছর এটি তার পঞ্চাশতম গোল, লা লিগায় ৩২ ম্যাচে ৩৪তম। ১২ গোল করা করিম বেনজেমাকে ছাড়িয়ে চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকার শীর্ষে ফিরলেন মেসি (১৩)। ষষ্ঠ ব্যালন ডি’অর জয়ী এ নিয়ে ৫০ গোলের মাইলফলকে থেকে টানা ষষ্ঠ বছর শেষ করলেন মেসি।
বার্সেলোনার চতুর্থ গোল করেন সুয়ারেস। এ নিয়ে গত ৫ ম্যাচে দলটির বিপক্ষে ১১ গোলে (৫ গোল ও ৬ অ্যাসিস্ট) অবদান রাখলেন উরুগুয়ান স্ট্রাইকার।
অনলাইন নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি