বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ২০তম ম্যাচে রাজশাহী রয়্যালস ৭ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লাকে। এ জয় দিয়েই চট্টগ্রাম পর্ব শেষ করলো রাজশাহী রয়্যালস।
গতকাল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করতে নামে রাজশাহী। ব্যাট হাতে ভালো শুরু না হলেও, ইংল্যান্ডের ডেভিড মালানের সেঞ্চুরিতে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৭০ রানের বড় সংগ্রহই পায় কুমিল্লা। ৫৪ বলে সেঞ্চুরি করেন মালান। শেষ পর্যন্ত ৯টি চার ও ৫টি ছক্কায় ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন মালান। এবারের আসরে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি এটি। তবে মালানের প্রথম। বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি করেছেন সিলেট থান্ডারের ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যান আন্দ্রে ফ্লেচার।
মালানকে ভালোভাবে কেউই সঙ্গ দিতে পারেননি। মালানের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেন সৌম্য সরকার। ২২ বলে ২০ রান করেন তিনি। এছাড়া অধিনায়ক দাসুন শানাকা ১১ ও ভানুকা রাজাপাকসে ১০ রান করেন। রাজশাহীর আন্দ্রে রাসেল-মোহাম্মদ ইরফান-আবু জায়েদ ২ উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ১৭১ রানের লক্ষ্যে আজও দলকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। ৭ ওভারে ৬০ রান যোগ করেন তারা। এরমধ্যে ১৯ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ২৭ রান করেন লিটন। এরপর উইকেটে গিয়ে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি পাকিস্তানের শোয়েব মালিক। ৫ বলে ১ রান করে ফিরেন তিনি।
তৃতীয় উইকেটে ৬২ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে রাখেন আফিফ হোসেন ও ইংল্যান্ডের রবি বোপারা। ব্যাট হাতে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন আফিফ। ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৩ বলে ৭৬ রান করে তিনি।
আফিফের বিদায়ের পর ২৯ বলে ৩৯ রান দরকার ছিলো রাজশাহীর। দলের বাকী প্রয়োজন মিটিয়েছেন বোপারা ও অধিনায়ক রাসেল। বোপারা ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৩ বলে অপরাজিত ৪১ ও রাসেল ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৭ বলে অপরাজিত ২০ রান করেন। কুমিল্লার আল-আমিন ৪৯ রানে ২ উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন দু’দলের দু’জন। কুমিল্লার মালান ও রাজশাহীর আফিফ।
এই জয়ে ৫টি খেলায় ৪টি জয় ও ১টি হারে ৮ পয়েন্ট রয়েছে রাজশাহীর। অপরদিকে, ৬ ম্যাচে ২টি জয় ও ৪ হারে ৪ পয়েন্ট রয়েছে কুমিল্লার।
অনলাইন নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি