দেশের ফুটবলকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন আসন্ন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডানেশন(বাফুফে) নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদ প্রার্থী আতাউর রহমান মানিক। কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন প্যানেল থেকে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামা দেশের বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী মানিক বলেন-পরিবর্তন নয়, দেশের ফুটবলরেক এগিয়ে নিতে চাই বহুদূর। আধুনিক জিমনেশিয়াম থেকে শুরু করে কমপ্লায়েন্স স্টেডিয়াম তৈরির ইচ্ছে আছে। দেশের ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল জিততে পারে, তাহলে এই কাজগুলো দ্রুত করবো। ফুটবল কমপ্লায়েন্স স্টেডিয়াম করার জন্য ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের প্রথম আবেদনই থাকবে এটা।
নিজের নির্বাচনী ভাবনা নিয়ে আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন মানিক।
এবার বাফুফে নির্বাচনে ২১ পদের বিপরীতে ৪৭জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দুটো প্যানেল প্রকাশ্যে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। একটি কাজী সালাউদ্দিন-মুর্শেদী সম্মিলিত ফুটবল পরিষদ, অন্যটি শেখ আসলাম-মহির নেতৃত্বাধীন সমন্বিত পরিষদ। আতাউর রহমান মানিক নির্বাচন করছেন সালাউদ্দিন-সালাম মুর্শেদীর নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত ফুটবল পরিষদের ব্যানারে। নোয়াখালী জেলার এ ক্রীড়া সংগঠক ব্যবসায়ী হিসেবে বেশ সফল। ফুটবলের সাথে জড়িত অনেক দিন থেকেই। তবে নির্বাচন পক্রিয়ায় একেবারেই নতুন মুখ। এবারই প্রথম বাফুফে’র নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। তাই লড়াইয়ের ময়দানে বেশ কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাকে। কারন প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে আছেন আরো ৭জন। সহ সভাপতি চারটি পদের বিপরীতে নির্বাচন করছেন ৮জন।
বর্তমান সহ সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ, তাবিথ আওয়াল, মহিউদ্দিন আহমেদ মহি ছাড়াও এ পদে এবার নির্বাচন করছেন ইমরুল হাসান, আমিরুল ইসলাম বাবু, আতাউর রহমান মানিক, শেখ মুহাম্মদ মারুফ হাসান ও আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ান। নির্বাচনী বৈতরনী পাড় হওয়ার কৌশল সম্পর্কে খোলাসা করলেও নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে বেশ আশাবাদী আতাউর মানিক, ‘আমি নির্বাচন পক্রিয়ায় প্রথম হলেও ফুটবলে নতুন নই। ক্লাব থেকে শুরু করে বিভিন্ন জেলার ফুটবলে স্পন্সর করে আসছি। এরইমধ্যে কাউন্সিলরদের সাথে আলাপ করেছি। তাদের কাছ থেকে বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি। আশাকরি আমি নির্বাচনে জয় লাভ করতে পারবো।’ (বাসস)