আবারও পেছালো স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার সভাপতি পদের নির্বাচন। করোনাভাইরাসে সৃষ্ট অচলাবস্থার জন্য মার্চের প্রথম সপ্তাহের আগে নতুন নীতি-নির্ধারক পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন ক্লাবটির অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতির দায়িত্বে থাকা কার্লেস তুসকেটস। যার ফলে কাতালুনিয়ায় আবারও অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে লিওনেল মেসির ভবিষ্যৎ।
নানা নাটকীয়তার পর গেল অক্টোবরে বার্সেলোনার সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়ান জোসেফ মারিয়া বার্তোমেউ। ক্লাবটির অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় কার্লেস তুসকেসের কাঁধে। যার প্রধান কাজ ছিলো নির্বাচিত সভাপতির কাছে দায়িত্ব অর্পণ। তবে মাস তিনেক সময় পেরুলেও সেই দায়িত্ব এখনো পালন করতে পারেননি তিনি।
পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী বার্সেলোনার সভাপতি পদে নির্বাচনের তারিখ ছিলো ২৪ জানুয়ারি। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে কাতালুনিয়া প্রশাসনের কিছু বিধি নিষেধের কারণে ভোট আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না নির্ধারিত সময়ে। অনলাইনে বিকল্প পন্থা ভাবা হলেও, শেষ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন কর্তা ব্যক্তিরা।
বার্তোমেউ ও তাঁর বোর্ড পদত্যাগ করার পর বার্সার সমর্থকেরা তো খুশি হয়েছিলেনই, নতুন সভাপতির অধীনে সুদিন ফিরবে ক্লাবে, এমন আশাও দেখেছিলেন। কিন্তু আজ নিশ্চিত হলো, বার্সার সেই সুদিনের অপেক্ষা শিগগিরই ফুরোচ্ছে না। বার্সা সমর্থকদের ভয় জাগাবে আরেকটি তথ্যও—নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ায় আবার শঙ্কায় পড়ে গেল ক্লাবে লিওনেল মেসির ভবিষ্যৎ। গত আগস্টে ক্লাব ছাড়তে চাওয়া আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের ক্লাবে থাকা না–থাকা নতুন সভাপতির সঙ্গে জড়িত বলেই ভাবা হচ্ছিল।
মেসির চুক্তি আগামী জুনে শেষ, আর এদিকে নতুন সভাপতি ক্লাবকে আবার সর্বজয়ী করতে কী কী পদক্ষেপ নেবেন, সেটি দেখে পছন্দ হলেই চুক্তি নবায়নের সিদ্ধান্ত মেসি নেবেন বলে জানা গিয়েছিল। সভাপতি নির্বাচনই পিছিয়ে গেলে মেসির ভবিষ্যৎ তো শঙ্কায় পড়ে গেলই!