প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারির ভয়াবহতার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। লেখাপড়ার এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিদ্যালয়ে পাঠদানের পাশাপাশি অনলাইন শিক্ষা-কার্যক্রমও অব্যাহত থাকবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি ওয়ার্কশিট পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম চলমান থাকবে।
সোমবার লালমনিরহাটে কোভিড-১৯ পরবর্তী প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার পর লালমনিরহাট জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে জরুরি নির্দেশনামূলক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেড় বছর প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকার পর খুলে দেওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম প্রায় স্বাভাবিকভাবে শুরু হয়েছে। তাই দেশবাসীর সাথে সাথে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সবাই খুশি। এখন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা ও শিক্ষার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে শিক্ষা কর্মকর্তা ও শিক্ষকসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকলেই সচেতন হবে এবং বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের শতভাগ সুরক্ষায় রাখতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের দেশের করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার নিম্মগামী, যা ৫ শতাংশের কাছাকাছি চলে এসেছে। কিছু দিনের মধ্যে হয়তো ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসবে। তখন আমারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবো এবং শিক্ষা কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করতে পারবো।’
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে নিয়মিত মাস্ক (কাপড়ের) পরিধান করতে হবে, শ্রেণি কক্ষে প্রবেশের পূর্বে প্রত্যেককে তাপমাত্রা পরীক্ষা ও সাবান দিয়ে হাত পরিস্কার করে নিতে হবে। তাছাড়া প্রতি বেঞ্চে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষার্থীদের বসতে হবে।