পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে ঈদ যাত্রার শেষ দিনেও যাত্রীর চাপ দেখা গেছে। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনেও বেড়েছে যাত্রীর চাপ। সকাল থেকে আন্তঃনগর ট্রেনে স্ট্যান্ডিং টিকিটের চাহিদা যেমন বেশি ছিল আবার কমিউটার ট্রেনেও ছিল বাড়তি চাপ।
বুধবার (২৮ জুন) সকাল ৮টায় রাজধানীর কমলাপুরে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
আর একদিন পরেই ঈদুল আজহা। ঈদযাত্রার শেষ দিনে বাড়ি ফেরার তাড়া ঘরমুখো মানুষের। নিরাপদে বাড়ি যেতে অনলাইনে টিকিট কেটেছে যাত্রীরা। যারা অনলাইন মাধ্যমে টিকিট কাটতে পারেননি তাদের জন্য যাত্রার দুই ঘণ্টা আগে দাঁড়ানো (স্ট্যান্ডিং টিকিট) টিকিটের ব্যবস্থা রেখেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানো ট্রেনগুলোতে দেখা যায় ট্রেনের সব সিট যাত্রীতে পরিপূর্ণ। স্ট্যান্ডিং টিকিটের যাত্রীরাও উঠেছেন ট্রেনগুলোতে। খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রী তালহা জোবায়ের জাগো নিউজকে বলেন, অনলাইনে খুব সহজে এবার টিকিট কাটতে পেরেছি। সকাল সোয়া ৮টায় ট্রেন ছাড়ার কথা, তাই ৮টায় প্ল্যাটফর্মে এসেছি। কোনো ধরনের সমস্যা ছাড়াই এবার বাড়িতে যাচ্ছি। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতেই ঢাকা থেকে বাড়ি যাওয়া হয়।
চুয়াডাঙ্গায় পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে যাওয়া সবুজ আহমেদ বলেন, ঈদের মধ্যে সবচেয়ে চিন্তার বিষয় থাকে কীভাবে বাড়ি যাবো। ট্রেনে গেলে যাতায়াতটা একটু ভালো হয়। তাই ট্রেনের টিকিট অনলাইনে কেটেছিলাম। সহজেই টিকিট পেয়ে এখন শেষ পর্যন্ত ট্রেনে উঠেছি।
ঈদে স্বস্থিতে বাড়ি ফিরতে স্ট্যান্ডিং টিকিট কেটেছেন মো. আরিফুর ইসলাম নামের এক যাত্রী। তিনি বলেন, অনেক দূরের পথ তারপরও স্ট্যান্ডিং টিকিট কিনেছি। বাসে যাওয়ার চেয়ে ট্রেনে স্ট্যান্ডিং টিকিট কেটে যাওয়াটা অনেকটাই স্বস্থিদায়ক।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন সূত্র বলছে, এবার বিক্রি করা মোট আসনের ২৫ ভাগ আসনবিহীন টিকিট বা স্ট্যান্ডিং বিক্রি করা হচ্ছে কমলাপুর কাউন্টার থেকে। আসনবিহীন এ টিকিট পেতে ভোর থেকেই কাউন্টারগুলোর সামনে ভিড় দেখা গেছে টিকিট প্রত্যাশীদের। অনেক যাত্রীরা স্টেশনের মূল ফটক থেকেও আসনবিহীন টিকিট কাটতে পারছেন।
রেলওয়ে কর্মকর্তা বলছেন, টিকিট ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। অনলাইনে টিকিট বিক্রি ও ২৫ ভাগ স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। যারাই এসব টিকিট কাটতে পেরেছেন তাদেরই যাচাই করে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।