ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ডে গেছেন ।
উন্নত চিকিৎসার জন্য দীর্ঘদিন তাকে বিদেশেই অবস্থান করতে হবে — এ কারণে সংসদের কাছ থেকে ৯০ দিনের ছুটি নিয়েছেন সাবেক এ মন্ত্রী।
অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে ছুটির আবেদন করেন মোশাররফ হোসেন। পরে সংসদ তা মঞ্জুর করে।
সংবিধানের বিধান ও সংসদের কার্যবিধি অনুযায়ী, কোনো সংসদ সদস্য যদি টানা ৯০ কার্যদিবস সংসদ বৈঠকে অনুপস্থিত থাকেন, তাহলে তার সদস্য পদ বাতিল হয়ে যায়। তবে যদি যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে কোনো সদস্য স্পিকারের কাছে ছুটি চেয়ে আবদেন করেন — তাহলে সংসদে কণ্ঠ ভোটের মাধ্যমে সেটি অনুমোদন করাতে পারেন স্পিকার।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সংসদে খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছুটির আবেদন পাঠ করে শোনান সংসদের সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু। পরে কণ্ঠ ভোটে তা পাস হয়।
সংসদের কার্যপ্রণালি বিধির ১৭৯ (২) এ অনুসারে ২০২৩ সালের ৯ জুলাই থেকে পরবর্তী ৯০ বৈঠকের জন্য ছুটির জন্য মোশাররফ হোসেন ইমেইলে আবেদন করেন বলে জানান শামসুল হক টুকু।
সংসদের কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী এ ছুটির আবেদন সংসদে পাঠ করে শোনানো হয় এবং কণ্ঠ ভোটে দেওয়া হয়।
অতীতে প্রথম, নবম, দশম এবং চলতি অধিবেশনেও ছুটির জন্য কয়েকজন সংসদ সদস্য আবেদন করেছিলেন এবং সেটি সংসদ মঞ্জুর করেছিল বলে জানান ডেপুটি স্পিকার। তিনি সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের আবেদন বিবেচনায় নেওয়ার অনুরোধ করেন।