আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারতের কলকাতায় হত্যাকাণ্ডের শিকার ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপির নিখোঁজ হওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। অহেতুক বন্ধুরাষ্ট্রকে দায়ী করে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য সমীচীন নয়।
বুধবার (২২ মে) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ‘সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায়’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক উপ-কমিটি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারত আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র, ঠিক আছে। এমপি যখন চিকিৎসার জন্য যান, তিনি তো ভারত সরকারকে জানিয়ে যান না। নিরাপত্তার ব্যাপারটি তখনই সেভাবে দেখা হয়, সেখানকার যথাযথ কর্তৃপক্ষকে যদি জানিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব বলেছেন, বন্ধুরাষ্ট্রে গিয়ে নিরাপদ থাকে না। কিন্তু, আপনাদের যদি শত্রুরাষ্ট্র হয়, তো সালাউদ্দিন আপনাদের এমপি এতদিন নিরাপদে কেমন করে? তাকে তো কেউ হত্যা করেনি, জীবনের কোনো হানি হয়নি। বন্ধুরাষ্ট্রকে কেন এ অপবাদ দিচ্ছেন? এ ব্যাপারটাকে নিয়ে কথায় কথায় ‘যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা’- এ ধরনের উক্তি করা সমীচীন নয়।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যাকে যারা অস্বীকার করে, তাদের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মাথা ঘামায় না আওয়ামী লীগ সরকার। যারা সাড়ে ৩৫ হাজার মানুষকে নির্বিচারে নিষ্ঠুরভাবে বোমা মেরে, গুলি করে অবিরাম হত্যা করছে, ঘোষণা দিয়ে হত্যা করছে। হিটলার হলোকাস্টে ৬ মিলিয়ন লোক হত্যা করেছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে। এখন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু যা করছেন, সেটা হিটলারের চেয়েও ভয়াবহ। শিশুদের টার্গেট করে হত্যা করছে, এটা কি গণহত্যা নয়? আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ইসরায়েল গণহত্যা চালায়নি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা গণহত্যাকে অস্বীকার করে, তারা আমাদের কাকে নিষেধাজ্ঞা দিলো, ভিসা নীতি দিলো, সে নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। সেনাবাহিনী চলে তাদের নিয়মে। সেখানে কারো অপরাধ প্রমাণিত হলে ছাড় দেওয়ার লোক নন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
উপ-কমিটির চেয়ারম্যান নাট্যজন আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন—আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজহার খান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদসহ উপকমিটির সদস্যরা।