স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, চিকিৎসকরা সবসময় সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন। মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারাটা একটা কষ্টসাধ্য ও সাধনার ব্যাপার। চিকিৎসকরা সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ নিয়ে জন্ম নেন।
আজ (বুধবার) ঢাকা মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ১ম বর্ষ শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নবীনদের যথাযথভাবে পড়াশোনা করে একজন যোগ্য চিকিৎসক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। এরজন্য প্রত্যেককেই নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলতে হবে। ডাক্তারদের অ্যাপ্রনের যে মর্যাদা সেটা তোমাদের ধরে রাখতে হবে।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আমি সম্প্রতি যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ডে সরকারি সফরে গিয়েছি। আমি যেখানেই গিয়েছি দেখেছি বিদেশে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসকদের মান নিয়ে সবার মাঝে ইতিবাচক ধারণা আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভিন্ন ইভেন্টে বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও প্রতিনিধিদের কাছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাপক প্রশংসিত ও সমাদৃত হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা কমিউনিটি ক্লিনিক এখন পুরো বিশ্বে স্বাস্থ্যখাতের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত। এটা আমাদের ধরে রাখতে হবে। স্বাস্থ্য সেবা, চিকিৎসকের মান, শিক্ষার মান বৃদ্ধি করে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতকে আরও উন্নত করে এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে যাতে পুরো বিশ্বে এটা একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে।
ডিজিটাল ব্যবস্থা শিক্ষায় যে অবারিত সুযোগ-সুবিধা আনছে স্বাস্থ্য মন্ত্রী তা শিক্ষার্থীদের কাজে লাগিয়ে নিজেদের দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের বিদেশে পড়াশোনার সুবিধার্থে অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল তৈরি করা হয়েছে এবং শিক্ষার্থীরা যাতে সহজেই বাইরে পড়াশোনা করে নিজেদের দক্ষ ও সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে পারে সেজন্য নানামুখী প্রচেষ্টা চলমান আছে।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. শফিকুল আলম চৌধুরী, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা প্রমুখ।