ভারত নাটক যেমন বানায় ঠিক তেমন করে মন্দির পুড়িয়ে জাতিসংঘে পাঠিয়েছে। তারা বুঝাতে চাচ্ছে বাংলাদেশে হিন্দুদের জায়গা হচ্ছে না। তারা চাচ্ছে দাঙ্গা লাগিয়ে এ দেশকে অস্থিতিশীল রাষ্ট্র তৈরী করতে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল।
শুক্রবার (৬ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা কৃষক দলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলন এখনও শেষ হয় নাই। আন্দোলন চলমান। যতদিন পর্যন্ত এ দেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন না হবে ততদিন আন্দোলন চলবে। তাই আমাদের সকলকে মাঠে থাকতে হবে। এই সরকার যেন সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে দেশকে বুঝিয়ে দিতে পারে সেই জন্য সকলকে মাঠে থাকতে হবে। কোন ষড়যন্ত্র আমাদের ঠেকাতে পারবে না। ১৯৭১ সালে এই দেশ থেকে আমরা রাজাকার, আলবদরকে তাড়িূয়েছি পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র যদি আমাদের উপর এমন কিছু করে তাহলে এ দেশের মানুষ দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিবে। আপনারা সকলেই পাড়া, মহল্লায় সজাগ দৃষ্টি রাখবেন কোন দুষ্কৃতিকারী যেন অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারে। অপরিচিত কাউকে দেখতে জিজ্ঞেস করবেন।
সম্মেলনে নজরুল ইসলামকে সভাপতি ও কামরুল আহসান স্বাধীনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
এসময় কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ সাধারণ সম্পাদক হাজী মাসুক মিয়া, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মাজহারুল ইসলাম, সদস্য সচিব ওবায়দুল্লাহ ওবায়েদ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বাবু তাপস সাহা অপু, নিকলী উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক বদরুল মোমেন মিঠু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোঃ মানিক মিয়া, জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সালাউদ্দিন খান ছোটন, নিকলী উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক আতিকুল ইসলাম তালুকদার হেলিম, নিকলী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শেখ রাসেল, সদস্য সচিব সৈকত কবির নাদিম, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম, শরীফুল ইসলামসহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।