তীব্র নাব্য সংকট ও অসংখ্য ডুবোচরের কারনে শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি চলছে নামমাত্র। এ যেন বিআইডব্লিউটিসির কোনমতে দায়মুক্তির পালা চলছে। ধারনক্ষমতার কম হালকা যানবাহন নিয়েও তলদেশ ঘেষে চলতে হিমশিম খাচ্ছে ৪/৫ টি কেটাইপ ফেরি।
শনিবার বিকেল থেকে রো রো ও ডাম্ব ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে আসন্ন ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর সমাধি পরিদর্শন ও কোরবানির ঈদে যাত্রী ও পশুবাহী যান পারাপার নিয়ে সংশয় বাড়ছে। ২দিন ধরে ভারী ও যাত্রীবাহী বাস বিকল্প রুটে চললেও এক সপ্তাহ ধরে কয়েক শ ট্রাক আটকে শ্রমিকরা অবর্ননীয় দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন। শ্রমিকরা সিরিয়াল নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ করেন। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা বিষয়টি অস্বীকার করেন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে দীর্ঘদিন ৭টি ড্রেজার কাজ করে গত ১৬ জুলাই ৬ কিলোমিটার ভাটিতে ওয়ান ওয়ে বিকল্প চ্যানেল চালু করে বিআইডব্লিউটিএ। কিন্তু উজানের ব্যাপক নদী ভাঙ্গনের পলি আসা অব্যাহত থাকায় পুরাতন ও নতুন চ্যানেল দুটিই দ্রুত ডুবোচর পড়ে নাব্যতা হারায়। তলদেশ ঘেষে চলতে ব্যর্থ হয়ে শনিবার বিকেল থেকে এরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এরআগে গত ৭ আগষ্ট নতুন চ্যানেলের মুখে তলা ফেটে ডুবোচরে ২২টি গাড়ি নিয়ে আটকে পড়ে কোনমতে রক্ষা পায় ডাম্ব ফেরি রানীক্ষেত।
রবিবার সকাল থেকে ৪/৫ টি কেটাইপ ফেরি ধারনক্ষমতার কম হালকা যানবাহন নিয়ে বাড়তি সময় ও জ্বালানী ব্যয় করে চলছে।
শনিবার সন্ধ্যায় বিআইডব্লিউটিএ প্রেস রিলিজের মাধ্যমে যাত্রীবাহী বাস ও ভারী যানবাহন বিকল্প রুট ব্যবহারের নির্দেশ দেয়ার পর ভাঙ্গা মোড় থেকে যানবাহন এরুটে ঢুকতে দিচ্ছে না হাইওয়ে পুলিশ। তবে এক সপ্তাহ ধরে শতাধিক ট্রাক আটকে শ্রমিকরা ঘাটে অবর্ননীয় দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন।আসন্ন ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর সমাধি পরিদর্শন ও কোরবানির ঈদে যাত্রী ও পশুবাহী যান পারাপার নিয়ে সংশয় বাড়ছে। এরুটে ২০টি ফেরি, ৮৭ টি লঞ্চ ও ২ শতাধিক স্পীডবোট সার্বক্ষনিক চলাচল করে।
ঘাটে আটকে পড়ারা জানান তাদের ভোগান্তির কথা। অনেকেই দায়ী করেন ড্রেজিং গাফলতিকে। পুলিশ কর্মকর্তাও দ্রুত ড্রেজিং এর তাগাদা দেন। তিনি সিরিয়াল নিয়ে অনিয়মের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি