এর আগে পুলিশ মোঃ সাহেদ ও রিজেন্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনার পরিচালক মাসুদ পারভেজকে মুখ্য মহানগর হাকিমের উপস্থাপন করে রিমান্ডের আবেদন করে।
মোঃ শাহেদ ও মাসুদ পারভেজের আইনজীবী নাজমুল হোসেন জানিয়েছেন তারা জামিনের আবেদন করেছেন কিন্তু তা আদালত নামঞ্জুর করেছে।
তিনি আদালত প্রাঙ্গনে সাংবাদিকদের বলেন, “আসামী অসুস্থ ও তারা বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক তাই তারা পালিয়ে যাবেনা। তাছাড়া তাদের বিরুদ্ধে মামলা তদন্তাধীন। এসব উল্লেখ করেআমরা রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেছিলাম” ।
তাদের দুজনকে হাতকড়া পরিয়ে ও কোমরে দড়ি দিয়ে বেধে সকালে ডিবি কার্যালয় থেকে আদালতে নেয়া হয়।
এসময় তাদের মাথায় হেলমেট ও গায়ে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ছিলো।
মঙ্গলবার গাজীপুর থেকে মাসুদ পারভেজকে গ্রেফতার করেছিলো র্যাব। আদালত আজ তাকেও দশ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
পরে বুধবার ভোরে সাহেদকে সাতক্ষীরা সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে আটক করে র্যাব।
র্যাবের দাবি তিনি নৌকাযোগে নদী পার হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন।
নৌকায় ওঠার ঠিক আগ মূহুর্তে নদীর পাড় থেকেই তাকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছিলেন র্যাব কর্মকর্তা তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার।
গ্রেফতারের পর তাকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় নিয়ে আসা হয় ও ঢাকার উত্তরায় তাকে নিয়ে একটি অভিযান চালায় র্যাব।
পরে ব্রিফিংয়ে র্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান যে, ঢাকায় অভিযান চালিয়ে মোঃ সাহেদের একটি অফিস থেকে তারা জাল টাকা উদ্ধার করেছেন।
রিজেন্ট হাসপাতাল ও গ্রুপের মালিক ও এমডি সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। প্রতারণার মামলায় এর আগে আরো ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা