জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকার তেজগাঁয়ে উন্মোচিত হলো বঙ্গবন্ধুর পূর্ণ অবয়ব ভাষ্কর্য । ডাক অধিদপ্তরের প্রতিষ্ঠান তেজগাঁওস্থ পোস্টাল সর্টিং সেন্টারের সামনে এই ভাষ্কর্যটি নির্মিত হয়েছে। আজ শনিবার সাত ফুট বেদীর ওপর স্থাপিত ১৫ফুট দীর্ঘ ভাষ্কর্যটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: নূর-উর রহমান, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এস এস ভদ্র এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীনস্থ সংস্থাসমূহের প্রধানগণসহ বিভাগের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ সরাসরি ও ডিজিটাল প্লাটফর্মে সংযুক্ত ছিলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে ও তিনি ও তাঁর সাথে শহীদ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধিা প্রদর্শন করার এই সুযোগ পাওয়াটা আমাদের জন্য গৌরবের। এটি একটি বিশাল সৃজনশীলতার প্রকাশ। তিনি বলেন, জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি আমাদের সাহস, দ্রোহ আর সংগ্রামের প্রেরণার জন্য, মুক্তিযুদ্ধের গৌরব এবং শৌর্যকে অন্তরে লালন করে বঙ্গবন্ধুকে অধ্যয়ন করা জরুরি।
মোস্তাফা জব্বার বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করে দেশমাতৃকার প্রতি ভক্তি নিয়ে মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জাতির পিতা প্রথমেই একটি জাতি স্বত্বা গড়ে তুলেছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রে অসীম দূরদর্শিতার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার লড়াইকে এগিয়ে নিয়েছেন। তাঁর পুরো পরিবার প্রত্যেকে প্রায় স্বীয় দিক থেকে ভূমিকা পালন করেছেন। একজন বঙ্গবন্ধু ছিলেন বলেই আমরা সংগঠিত হতে পেরেছিলাম। যা পৃথিবীর অনেক দেশ পারেনি। তিনি বঙ্গবন্ধুর ওপর তৈরি করা একশত ডাকটিকেটের এলবাম প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, এই টুকু পড়লেও উপলব্ধি করা যাবে একজন মানুষ কী রণ কৌশল নিয়ে একটা জাতি গঠন করতে পেরেছিলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব বলেন, জাতির পিতার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দিতে হবে। এই ভাস্কর্য মহানমুক্তিযুদ্ধে ডাক বিভাগের অবদানকে তুলে ধরবে।
এর আগে জাতীয় শোক দিবসের প্রথম প্রহরে শেরে বাংলা নগরের ডাক ভবনে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এর নেতৃত্বে ডাক অধিদপ্তরসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও এর অধীনস্থ সংস্থাসমূহ।
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি