রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস’ ২০২০ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এর উদ্যোগে ২ অক্টোবর ২০২০ তারিখে দেশব্যাপী ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সরকার মার্চ ২০২০ থেকে মার্চ ২০২১ পর্যন্ত সময়কে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করেছে। এ প্রেক্ষাপটে উৎপাদনশীলতা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে উৎপাদনশীলতা’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
টেকসই উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির জন্য উৎপাদনশীলতার কোন বিকল্প নেই। উৎপাদনশীলতার সাথে জড়িত রয়েছে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার মান, অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নৈপুণ্য এবং প্রাতিষ্ঠানিক কার্যাবলীর গুণগত মান। এজন্য কৃষি, শিল্প ও সেবাসহ প্রতিটি সেক্টরে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা আবশ্যক। এ লক্ষ্যে দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি শিল্প ও সেবা প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে। আমি আশা করি জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উদ্যাপনের মাধ্যমে জনগণের নিকট উৎপাদনশীলতার গুরুত্ব যথাযথভাবে তুলে ধরা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলছে। নানাবিধ প্রতিকূলতা সত্ত্বেও দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ক্রমাগত বাড়ছে। সরকার রূপকল্প ২০২১ এবং জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ বাস্তবায়নে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। এছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে রূপান্তরের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জনে সকল অর্থনৈতিক সেক্টরের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে। আর এর মাধ্যমেই জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
আমি ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস ২০২০’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।