করোনা পরিস্থিতে স্কুল বন্ধ রেখেই শিক্ষার্থীদের নতুন পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হবে। তবে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল থেকে বই নিতে হবে। একেক দিন একেক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এবার ক্লাস ও রোল অনুযায়ী নতুন বই প্যাকেটজাত করে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ভিন্ন ভিন্ন দিনে ক্লাস ও রোল অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ডে শিডিউল দেয়া থাকবে। নির্ধারিত দিনে শিডিউলভুক্ত ক্লাসের শিক্ষার্থীরা বই সংগ্রহ করতে পারবে।
জানতে চাইলে মাউশির পরিচালক (বিদ্যালয়) বেলাল হোসাইন জাগো নিউজকে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবার স্কুল থেকেই নতুন বই বিতরণ করা হবে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি নির্দেশনা জারির কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, নির্দেশনা পেলে এটি বাস্তবায়নে আমরা মাঠ পর্যায়ে জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা দেব। প্রতিষ্ঠান প্রধানের দায়িত্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বই বিতরণ করা হবে।
জানা গেছে, বিতরণের জন্য এ বছর প্রায় ৩৫ কোটি বই মুদ্রণ করেছে সরকার। এর মধ্যে মাধ্যমিকের বই প্রায় ২৪ কোটি ৩৪ লাখ। বাকিটা প্রাথমিক স্তরের। ১ জানুয়ারির আগে মাধ্যমিক স্তরের সব বই না পৌঁছলেও প্রাথমিক স্তরের সব বই পৌঁছে যাবে স্কুলে স্কুলে।
করোনা মহামারির কারণে নতুন বছরের বই উৎসব ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ৩১ ডিসেম্বর সব স্তরের পাঠ্যপুস্তকের উদ্বোধন করা হবে। ১ জানুয়ারি থেকে স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বছরের বই তুলে দেয়া হবে।