‘১১-০৪-২০১৬ পর্যন্ত দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদের বৈধতা দেয়া হচ্ছে’ মর্মে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে কোন আদেশ জারি করা হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য হলো:
‘দারুল ইহসানের সনদের বৈধতা দেয়ার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখনও কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখের ৩৭.০০.০০০০.০৭৮.৩১.০০১.১৯.৩৪ নং স্মারকে ‘দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক মাহমুদ আহমেদের অনুকূলে বৈধ ২৯ টি ক্যাম্পাসের সকল শিক্ষার্থীর সনদের বৈধতা প্রদানের সম্মতি দেয়া গেল এবং একই সাথে শিক্ষার্থীদের মূল সনদ ইস্যু কার্যক্রম পরিচালনা পর্ষদের ৩ জনের তালিকা প্রস্তাব প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো’ বক্তব্যে যে আদেশটি গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে সেটি ভুয়া। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এই রকম কোন আদেশ জারি করা হয়নি এবং ওয়েব সাইটেও প্রকাশ করা হয়নি। এই ভুয়া আদেশের প্রেক্ষিতে কেউ যেন কোন ধরনের অনৈতিক সুবিধা না নিতে পারে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন থাকতে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত হলো, মামলা সংক্রান্ত কারণে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রেরণের জন্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে এবং এই সংক্রান্ত একটি আদেশ ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হয়েছিল।
উল্লিখিত বিষয় বিবেচনা করে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদের বৈধতা দেয়া সংক্রান্ত গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে তা নিরসনে গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার জন্য আহ্বান জানানো হলো।’