চলমান লকডাউনের পরে শর্তসাপেক্ষে গণপরিবহন চালুর চিন্তা ভাবনা করছে সরকার, জানালেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ সকালে বরিশাল সড়ক জোন, বিআরটিসি ও বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান। এসময় তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
কাদের জানান, চলমান লকডাউনের পরে জনস্বার্থ বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শর্তসাপেক্ষে সরকার গণপরিবহন চালুর সক্রিয় চিন্তা ভাবনা করছে। একই সাথে গণপরিবহনে অর্ধেক আসন খালি রেখে যে ভাড়া নির্ধারণ ছিল, সেই ভাড়ার অতিরিক্ত নিলে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, লকডাউন শিথিল হলেও মাস্ক, হ্যান্ড সেনিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে।
দেশ-বিদেশে মিথ্যাচার চালানো হচ্ছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে দেশ-বিদেশে যে মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে, তার অর্থের যোগানদাতা ও পৃষ্ঠপোষকতা করছে দেশের একটি রাজনৈতিক দল।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, অপপ্রচার আর গুজবের জন্য যাদের শাস্তির আওতায় আনা হয়, তাদের ব্যাপারে বিরোধী পক্ষ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরূপ সমালোচনা করে থাকে। সাইবার ক্রাইম ও ডিজিটাল নিরাপত্তা সরকারের অ্যাকশনের বাইরে থাকবে, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। ডিজিটাল নিরাপত্তা জনগণকেই দিতে হবে। গুজব আর অপপ্রচার নিরাপত্তাকে মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত করে।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘প্রতিদিন বিরোধীরা সরকারের বিরুদ্ধে যা নয় তাই বলে, প্রধানমন্ত্রীকেও ছাড়ছেন না অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ করতে, কিন্তু সেখানে কারও বিরুদ্ধে কি এসব বক্তব্যের কোনো প্রকার হয়রানি বা গ্রেফতার করা হচ্ছে?’