যাদের কন্ঠে গানে গানে মুখরিত হয়ে থাকতো লালনের আখড়া বাড়ি। দেশ বিদেশের ভ্রমণ পিপাসুরা তাদের গান শুনে মুগ্ধ হয়ে দিতো বকশিশ ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গেয়ে যে সন্মানী পেতো তা দিয়েই চলতো শিল্পিদের পরিবার। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারনে গত বছর থেকেই বন্ধ আছে এই বাউলেদের আতুরঘর লালন শাহের মাজার,অনুষ্ঠান গুলোও বন্ধ যে কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছে শিল্পীরা।
শুক্রবার সকালে লালন একাডেমী চত্বরে কুমারখালী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল হতে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।
কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে এসময় স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মৃনাল কান্তী দে, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)সিরাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন আক্তার, এনডিসি মোঃ হাফিজুর রহমান, লালন একাডেমির এডহক কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পীদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, করোনায় দীর্ঘদিন অনুষ্ঠান বন্ধ। শিল্পীরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে। শিল্পীদের এর আগেও সহযোগীতা করা হয়েছে। তাদের জন্য এমন মানবিক সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো বলেন, নিজের ও পরিবারের সবাইকে সুরক্ষা রাখতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।