কুমারখালীতে শাশুড়ির আত্মহত্যা,পরে পুত্রবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২.০০ টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পান্টি ইউনিয়নের রামদিয়া গ্রামে এ-ই ঘটনা ঘটে।
গত কয়েকদিন ধরে শ্বাশুড়ি রোকেয়া খাতুনের সাথে গৃহবধূ হিরা’র বাগবিতণ্ডা হয়। প্রায় তিনদিন ধরে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে বউ-শ্বাশুড়ির চলে মান অভিমান। একপর্যায়ে শুক্রবার রাতে আব্দুর রহমান তাঁর মা ও স্ত্রীর মান অভিমান ভাঙায় এবং স্ত্রী হিরা খাতুন অসুস্থ হলে তাঁকে পল্লী চিকিৎসক ডেকে শরীরে স্যালাইন পুশ করান।
এরপর রাতে হঠাৎ মায়ের খোঁজ নিতে যান ছেলে আব্দুর রহমান। ঘরে মাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে ছেলে। একপর্যায়ে রাত একটার দিকে বাড়ির পরিত্যাক্ত ঘরের আড়াইয়ের সাথে ওড়নায় ঝুলতে দেখে প্রতিবেশীদের খবর দেয় ছেলে আব্দুর রহমান। পরে প্রতিবেশীরা এসে মায়ের লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শাশুড়ী ও পুত্রবধূর মধ্যে পারিবারিক কলহের জেরে পরিত্যাক্ত ঘরের আড়াইয়ে (বাঁশের ডাব) ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে বৃদ্ধ শ্বাশুড়ি আত্মহত্যা করে। পাশের ঘরে চিকিৎসাধীন একমাত্র পুত্রবধূ হিরা খাতুন ওরফে জোসনার তার কিছুক্ষণ পরেই রহস্যজনক মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন ওই গ্রামের মৃত বসির উদ্দিনের স্ত্রী রোকেয়া খাতুন (৬০) ও নিহতের পুত্র আব্দুর রহমানের স্ত্রী হিরা খাতুন ওরফে জোসনা (২৬)।
তবে এ বিষয়ে নিহত পুত্রবধূ হিরা খাতুনের মা বলেন,আমার মেয়ের গায়ে আঘাতের দাগ আছে,আমার মেয়ের মৃত্যু স্বাভাবিক মৃত্যু নয়।আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিব হাসান বলেন, খবর পেয়ে সকালে লাশগুলো উদ্ধার পূর্বক সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়। পরে লাশ গুলো কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।