বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠি ও নিয়ামতি ইউনিয়নের কয়েকশ পরিবার মৃৎশিল্পের সঙ্গে যুক্ত। সারা বছর তাদের তৈরি সামগ্রীর চাহিদা না থাকলেও, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বেড়েছে কদর। তাই মাটির তৈরি হাতি, ঘোড়া শিশুদের খেলনাসহ নানা উপকরণ তৈরিতে এখন ব্যস্ত কুমার পেশায় যুক্ত নারী পুরুষরা।
যুগের পর যুগ ধরে এসব কুমার পরিবারগুলো বাঙালির ঐতিহ্য ধরে রাখলেও প্লাস্টিক সামগ্রীর সহজলভ্যতায় ক্রমাগত মাটির জিনিসের চাহিদা কমে যাওয়ায় দুশ্চিতায় মৃৎশিল্পীরা। তাই এই শিল্পকে বাঁচাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের কাছে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
মৃৎশিল্পকে বাচিয়ে রাখতে মাটির পণ্য ব্যবহার বৃদ্ধিতে সরকারি পদক্ষেপসহ অর্থিক সহযোগীতা সহায়ক হবে বলে মনে করেন ১৪ নং নিয়ামতি ইউনিয়ন বাকেগঞ্জ চেয়ারম্যান মো. হুমায়ন কবি, ।
এদিকে, মৃৎশিল্পের চাহিদা বাড়াতে কুমারদের সহযোগীতার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছে বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল।
বর্তমানে এ উপজেলায় প্রায় ৫শ’ পরিবার মৃৎশিল্পের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছে।