জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক নজরুল ইসলামকে মারপিট ও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ উঠেছে খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের বিরুদ্ধে।

গত শুক্রবার (৫ মে) রাতে কয়রার উত্তরচক আমিনিয়া বহুমুখী কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ নিয়োগকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। তাকে রাতেই পুলিশ পাহারায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়।

ভুক্তভোগী অধ্যাপক নজরুল ইসলাম জানান, কয়রা উত্তরচক আমিনিয়া বহুমুখী কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ নিয়োগ নিয়ে জটিলতা ছিল। তিনি ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের প্রতিনিধি হিসেবে আসেন। নিয়োগ পরীক্ষায় ৬ জন উপস্থিত ছিল, তারা লিখিত পরীক্ষায় পাস নম্বর পায়নি। নিয়ম অনুযায়ী কমপক্ষে ৩ জন পাস করতে হবে। পাস না করায় তারা নিয়োগের সুপারিশ করতে পারেননি।

মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ জোরপূর্বক নিয়োগ দেয়ার সুপারিশ করতে বলেন। কিন্তু সুপারিশ না করায় পরীক্ষা শেষে যখন খুলনায় চলে আসবো, তখন তার বাড়ির সামনে গাড়ি থেকে নামিয়ে আমার উপর আক্রমণ করে। চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রেখে মারপিট ও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বাক্ষর নেয়।

তবে মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দাবি করেন, মারপিট বা জোর করে স্বাক্ষর নেয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। ওই শিক্ষক হাইপ্রেসারের রোগী ছিলেন। পরীক্ষা শেষে যাওয়ার পথে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

খুলনার পুলিশ সুপার মো. মাহবুব হাসান বলেন, শিক্ষককে মারপিটের বিষয়টি জানতে পেরেছি। রাতেই পুলিশ পাহারায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।