নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে নিরঙ্কুশ বিজয় পেয়ে পুনরায় এমপি নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ কে এম শামীম ওসমান। রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
এই আসনের মোট কেন্দ্র ২৩১। সব কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে শামীম ওসমান (নৌকা) পেয়েছেন ১ লাখ ৯৫ হাজার ৮২৭ ভোট। অন্যদিকে, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকের পার্টির মো. মুরাদ হোসেন জামাল (গোলাপ ফুল) পেয়েছেন ৭ হাজার ২৬৯ ভোট। ফলে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৫৫৮ ভোট বেশি পেয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম ওসমান বিজয়ী হয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে এবারের নির্বাচনে ৮ জন প্রার্থী ছিলেন। শামীম ওসমান তারা হলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. সেলিম আহমেদ (একতারা), জাসদের মো. সৈয়দ হোসেন (মশাল), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. গোলাম মোর্শেদ রনি (ডাব), তৃণমূল বিএনপির মো. আলী হোসেন (সোনালী আঁশ), জাকের পার্টির মো. মুরাদ হোসেন জামাল (গোলাপ ফুল), এনপিপির মো. শহীদ উন নবী (আম), বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের মো. হাবিবুর রহমান (চেয়ার)।
৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১ হাজার ৯৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তার মধ্যে ভোটে অংশ নেয়া ২৮ দলের প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৫ জন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪৩৬ জন। ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ করা হয়। নওগাঁ-২ আসনে এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুতে সেখানে ভোট হয়নি। পুনরায় সেখানে তফসিল ঘোষণা করা হবে। তখন আরও প্রার্থী যুক্ত হতে পারে।
চব্বিশের ভোটে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন। আর নারী ভোটারের সংখ্যা ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২। ৮৫২ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার।
সুনির্দিষ্ট কত শতাংশ ভোট পড়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। তবে ৪০ শতাংশের মতো ভোটগ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। ভোটের হার একটু এদিক-ওদিক হতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।