বলিউড অভিনেত্রী কারিশমা কাপুরের প্রাক্তন স্বামী, শিল্পপতি সঞ্জয় কাপুরের মৃত্যুর পর শুরু হয়েছে পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে নানা টানাপোড়েন। প্রাক্তন স্ত্রী কারিশমা, বর্তমান স্ত্রী প্রিয়া সচদেব কাপুর এবং মা রানি কাপুর—এই তিন নারীর নাম ঘুরপাক খাচ্ছে উত্তরাধিকারের তালিকায়।
গত ১২ জুন প্রয়াত হন দিল্লির শিল্পপতি সঞ্জয় কাপুর। তারপরই সামনে আসে পারিবারিক নানা অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ। বিশেষ করে সঞ্জয়ের মা রানি কাপুর সম্প্রতি দাবি করেছেন, ছেলের মৃত্যুর পর তাকে দিয়ে জোর করে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকেও আর লেনদেন করতে পারছেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
এই পরিস্থিতিতে নতুন করে চর্চায় চলে এসেছেন অভিনেত্রী কারিশমা কাপুর। বলিপাড়ার গুঞ্জন, প্রাক্তন স্বামীর ৩০ হাজার কোটির বিপুল সম্পত্তিতে নাকি এবার ‘চোখ’ পড়েছে কারিশমার! যদিও কারিশমা এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি।
২০০৩ সালে সঞ্জয় কাপুরকে বিয়ে করেছিলেন কারিশমা। ২০১৬ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। সে সময় নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন অভিনেত্রী। এমনকি গুজব রটে, হানিমুনের সময় একরাতের জন্য কারিশমাকে বন্ধুবান্ধবদের কাছে ‘নিলামে’ তোলার চেষ্টা করেছিলেন সঞ্জয়!
ভরণপোষন বাবদ ডিভোর্সের সময় কারিশমা পেয়েছিলেন ৭০ কোটি টাকা। এছাড়াও দুই সন্তান সামাইরা ও কিয়ানের ভবিষ্যতের জন্য পেয়েছিলেন ১৪ কোটি টাকার বন্ড এবং প্রতি মাসে ১০ লাখ টাকা করে সুদ।
তবে বলিপাড়া সূত্রের দাবি, সঞ্জয় কাপুরের উইল অনুযায়ী কারিশমার জন্য কোনো সম্পত্তি বরাদ্দ রাখা হয়নি। এমনকি তিনি নিজেও এই বিপুল সম্পত্তি থেকে কিছু দাবি করেননি বলে খবর। কারিশমার একমাত্র চিন্তা তার দুই সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে।
অন্যদিকে, সোনা কমস্টার-এর মালিকানা নিয়েই নাকি মূল বিবাদ তৈরি হয়েছে কাপুর পরিবারে। তবে সেটা কারিশমার সঙ্গে নাকি সঞ্জয়ের বর্তমান স্ত্রী প্রিয়া সচদেব বা অন্য কাউকে ঘিরে, তা এখনও পরিষ্কার নয়।
কাপুর পরিবারের ঘনিষ্ঠ মহল থেকে বিভিন্ন ইঙ্গিত মিলেছে, যা রহস্য আরও ঘনীভূত করছে।