ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসান আল ফারাবি জয়ের গুলিতে নিহত ছাত্রলীগকর্মী আয়াশ রহমান ইজাজ হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।
শুক্রবার (৭ জুন) জুমার নামাজের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন নিহতের বন্ধু ও সহপাঠীরা। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্বরে এসে মানববন্ধনে জড়ো হয়।
মানববন্ধনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল হাসান মিঠু বলেন, ইজাজের সঙ্গে চলাফেরা ছিল। যেদিন হত্যা করা হয় সেদিন দুপুর ২টায়ও একসঙ্গে খাবার খেয়ে ইজাজ চলে যায় নিজ এলাকায়। তার কিছুক্ষণ পর খবর আসে ইজাজকে গুলি করা হয়েছে বলেই কেঁদে উঠেন মিঠু।
নিহতের সহপাঠী বায়েজিদুর রহমান সিয়াম বলেন, আমরা চার দফা দাবি নিয়ে আজকের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করছি। একজন খুনি গুলি করে সেই বন্দুক পকেটে করে সুন্দর করে হেঁটে চলে গেছে, সেই বিষয়টি দেখে এখনও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খুনিদের গ্রেপ্তার করতে না পারা লজ্জাজনক। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুনি হাসান আল ফারাবি জয় ও জালাল হোসেন খোকাসহ যারা সহযোগী ছিল তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় আবারও ধর্মঘট, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাস্তায় নামব।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন মাহতি মোহাম্মদ মাশরাফি, সাকিব খান রিফাত, আরাফ উল্লাহ অর্ণব, তুষার, ইজাজের মামাতো ভাই ইমতিয়াজ আলি ইমন।
প্রসঙ্গত, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসান আল ফারাবী জয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই ইজাজের বিরোধ চলে আসছিল। গত বুধবার (৫ জুন) সকালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট চলাকালে ভোটকেন্দ্রে জয় ও এজাজের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যায় শহরের মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ফলাফলে চেয়ারম্যান পদে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন বিজয়ী হওয়ার খবর পেয়ে তার সমর্থকরা আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিলটি কলেজপাড়া এলাকার খান টাওয়ারের সামনে পৌঁছালে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসান আল ফারাবী জয় মিছিলে প্রকাশ্যে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে আয়াশ রহমান এজাজ মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে মিছিলে থাকা অন্যরা দ্রুত এজাজকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যান।