নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার সামনে গুলিতে আহত ছাত্রদল কর্মী মো. আসিফ নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক দুই এমপির নামে মামলা করা হয়েছে। এছাড়া ছাত্রলীগ, যুবলীগের ৩৯ নেতার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) সকালে নোয়াখালী জজকোর্টের বেগমগঞ্জ আদালতে মামলার আবেদন করেন নিহত আসিফের বাবা মোরশেদ আলম।
মামলায় নোয়াখালী (সদর- সূবর্ণচর)-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ও নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এইচএম ইব্রাহিমকে হুকুমের আসামি করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর ছাত্র জনতা ও জনসাধারণ আনন্দ মিছিল করেন। সাবেক সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, এইচএম ইব্রাহিম ও সাবেক মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সালের নির্দেশে ওই মিছিলে আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, পেট্রোল বোমাসহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালানো হয়। এ সময় মিছিলকারী জনতা প্রাণ ভয়ে সোনাইমুড়ী থানায় আশ্রয় নিলে সেখানেও এলোপাতাড়ি গুলি করা হয়। গুলিতে মো. আসিফ (২৪) গুলিবিদ্ধ হন। আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এছাড়া ঘটনাস্থলে মারা যান আরও চারজন। এ ঘটনায় করা মামলায় ৩৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ২৫০০ জনকে আসামি করা হয়।
নোয়াখালী জজ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহ আলম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসিফ হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। ৩৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ২৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট বিকেলে নোয়াখালী সোনাইমুড়ী থানার সামনে পুলিশের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় আসিফসহ অসংখ্য মানুষ গুলিবিদ্ধ হন। এরপর প্রথমে আসিফকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) রাত সাড়ে ১০টায় তিনি মারা যান। পরেরদিন শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় তার মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।