করোনার প্রভাবে বিপাকে পড়েছেন দেশের বৃহত্তম ভাসমান হাট ঝালকাঠির ভীমরুলী হাটের পেয়ারা চাষিরা। পাইকার কম আসায় উৎপাদিত পেয়ারা অবিক্রিত থাকার আশংকায় চিন্তিত তারা। প্রতি বছর পেয়ারার মৌসুমে ক্রেতা-বিক্রেতা-পর্যটকের সমাগমে মুখর থাকে ভাসমান ভীমরুলী হাট। কিন্তু এবারের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়নের ভীমরুলী নদীর ওপর গড়ে ওঠা ভাসমান ভীমরুলী হাটে পেয়ারা, আমড়া, লেবু ছাড়াও বারো মাস নিজেদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বেচা-কেনা করেন, এ অঞ্চলের ২০ গ্রামের কৃষকরা। পেয়ারার মৌসুমকে কেন্দ্র করে আষাঢ় থেকে ভাদ্র মাস পর্যন্ত হাটটি থাকে সরগরম।
বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি সদর, বানারীপাড়া ও পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার চারটি ইউনিয়নজুড়ে রয়েছে বিশাল সুমিষ্ট দেশি পেয়ারার বাগান। চাষিরা ছোট-ছোট নৌকায় করে এসব বাগান থেকে পেয়ারা সংগ্রহ করে হাটে নিয়ে আসেন। কিন্তু এ বছর করোনার প্রভাবে পাইকার, পর্যটক কোনটাই তেমন আসছেন না।
এদিকে, সরকারি ব্যবস্থাপনায় কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি খুচরা বাজারে বিক্রির সুযোগ সৃষ্টি করা গেলে চাষিরা লাভবান হতো বলে জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, মো. ফজলুল হক।
এ বছর ঝালকাঠিতে ৮শ হেক্টর জমিতে পেয়ারা আবাদ করা হয়েছে; কিন্তু সময়মতো এসব ফল বিক্রি না হলে প্রায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হবে বলে শঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি