তিস্তা নদীকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর রংপুর, দিনাজপুর ও বগুড়া জেলার অনাবাদি জমি সেচের আওতায় আনতে নেয়া হয়েছিল তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্প। এবং তাতে সুফলও মিলেছিল। কিন্তু সেই তিস্তায় নাব্যতা সংকটের কারণে বর্তমানে পানি নেমে এসেছে ৪৫০ থেকে ৫০০ কিউসেকে। ফলে, তিস্তার বুকে জেগে উঠেছে বালুচর।
আজ থেকে তিন মাস আগেও তিস্তায় ছিল থৈ থৈ পানি। নদীর বুকে চলতো মালবোঝাই নৌকা। কিন্তু বর্তমানে, পানির অভাবে লালমনিরহাটের তিস্তা তীরবর্তী এলাকার রাজপুর, খুনিয়াগাছ, গোবর্ধন, মহিষখোচাঁ, কালমাটি, চরবৈরাতি, ডালিয়াসহ ৪০টি চরাঞ্চলের, ১০ হাজার হেক্টর জমিতে ব্যাহত হচ্ছে চাষাবাদ। এতে জীবিকা নির্বাহে হিমশিম খেতে হচ্ছে এসব অঞ্চলের কৃষকদের।
এ বিষয়ে কথা বললে লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামীম আশরাফ জানান, এ শুষ্ক মৌসুমে যদি চর এলাকাগুলোতে সেচ কাজের জন্য গর্ত করে পানি ধরে রাখা যায় তবে লাভবান হবেন কৃষকরা।
তিস্তা নদীর পানি বন্টন চুক্তি বাস্তবায়ন এবং নদী খনন করে চাষাবাদের সুযোগ সৃষ্টি হলেই তিস্তা পাড়ের লোকজনের দুঃখ-দুর্দশা অনেকটাই লাঘব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।