ফেলানী হত্যার ১০ বছর আজ। কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে বিএসএফের হাতে নাগেশ্বরীর এ কিশোরী নিহত হয়। কিন্তু আজও কাঙ্ক্ষিত বিচার পায়নি তার পরিবার। তাদের আশা, ফেলানী হত্যাকাণ্ডের ন্যায় বিচার পাবেন তারা।
২০১১ সালের এদিনে, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে কাঁটাতার ডিঙ্গিয়ে বাবার সঙ্গে দেশে ফিরছিল ফেলানী। এ সময় টহলরত চৌধুরীহাট ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্য তাকে গুলি করে। মৃত্যুর পর দীর্ঘ সাড়ে চার ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে থাকে তার মরদেহ। এতে, গণমাধ্যমসহ বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ভারত।
এ ঘটনায় বিএসএফ-এর বিশেষ কোর্টে দুই দফায় বিচারিক রায়ে খালাস দেয়া হয় অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে। রায় প্রত্যাখ্যান করে ভারতীয় মানবাধিকার সংগঠনের সহযোগিতায়, ভারতীয় সুপ্রিমকোর্টে রিট আবেদন করে ফেলানীর পরিবার। ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট, ভারতের কোচবিহারে, জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টে ফেলানী হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়।
বিচার শুরু হলেও আজও ন্যায় বিচার পাননি ফেলানীর পরিবার। সীমান্তবাসীসহ তাদের প্রত্যাশা, বিএসএফের জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স আদালতের বিচারে ঘাতক অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেয়া হলেও ভারতের উচ্চ আদালতে তারা ন্যায় বিচার পাবেন।
পাবলিক প্রসিকিউটর এসএম আব্রাহাম লিংকন জানান, ভারতের সুপ্রিমকোর্টে ফেলানী হত্যার রিটটি কার্যতালিকার তিন নম্বরে ছিলো। বর্তমানে কোভিড পরিস্থিতির কারণে ভার্চুয়াল কোর্ট চলছে। পরিস্থিতি ভালো হলে রিটটির শুনানি হবে।
বিভিন্ন সংস্থার তথ্যমতে, কুড়িগ্রামে সীমান্তে স্বাধীনতার ৪৯ বছরে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছে প্রায় ৮১ জন। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। তাই সীমান্ত হত্যা, চোরাচালান, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে দু’রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবার দাবি সীমান্তবাসীর।