লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও আজীবন সদস্য প্রবীণ সাংবাদিক এম এ মালেকের ১ম মৃত্যুবাষিকী আজ।
এ প্রবীণ সাংবাদিকের মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে পরিবারের সদস্যরা। সাংবাদিক এম এ মালেক জেলা রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি, চেম্বার অব কমান্সের সাধারন সম্পাদক, কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি জাতীয় দৈনিক ভোরের পাতা পত্রিকার ব্যুরো প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন।
প্রবীণ এ সাংবাদিক সদর উপজেলার সমসেরাবাদ গ্রামের হাজী চুনু মিঞা হাওলাদার বাড়ীতে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন সরকারী রেজিষ্ট্রেশন বিভাগের কর্মকর্তা। ৬ ভাই ২ বোনের মধ্যে এম এ মালেক ছিলেন চতুর্থ। বড় ভাই মরহুম আবদুল গোফরান ছিলেন সরকারী রাজস্ব কর্মকর্তা। ২য় ভাই এম এ মতিন ছিলেন ১ম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট ও মুক্তিযোদ্ধা। ৩য় ভাই বর্তমানে প্রকৌশলী মোঃ শাহজাহান বিটিএমসির একজন অন্যতম উপদেষ্টা। ৫ম ভাই ডাঃ জাকির হোসেন লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আরএমও ছিলেন। ছোট ভাই আবুল আহসান টেলু একজন ক্যামিকেল ইঞ্জিনিয়ার।
শিক্ষা জীবনে মরহুম এম এ মালেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ঢাকা টিটি কলেজ থেকে বিএড ডিগ্রি অর্জন করেন। দীর্ঘ ১৫বছর সিলেটের ছাতক এবং সাভারের দোসাইদ একে হাইস্কুলে পর্যায়ক্রমে প্রধান শিক্ষক ছিলেন। বিএড অধ্যায়ন কালীন সময়ে ১৯৭৫-৭৬ সালে টিটি কলেজের ছাত্র সংসদ এর নির্বাচিত জিএস ছিলেন। তিনি সাংবাদিকতা জীবনে অসংখ্য প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা অংশগ্রহণ করেছিলেন।
বর্তমানে তার এক ছেলে নাজিম উদ্দিন রানা লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য ও আজকের বিজনেস বাংলাদেশ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছে।
উলেখ্য, ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন সাংবাদিক এম এ মালেক।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি