মহামারি করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ঠেকাতে গেল রবিবার (২০ জুন) থেকে সাত দিনের সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন। এর কারণে কুমারখালী পাইকারী বাজারে কমতে শুরু করেছে আমের দাম ও ক্রেতা ।
এতে করে ক্রেতা সংকটে ভুগছেন কুমারখালী আম ব্যবসায়িরা। সরবরাহের তুলনায় ক্রেতা না থাকায় উপজেলায় আমের হাটে বেচা-কেনায় এরই মধ্যে ধস নেমেছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিমণে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা পড়ে গেছে দর। হঠাৎ এ দরপতনে পাইকার ও বাগান মালিকরা বিপাকে পড়েছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় অনেকে বাগান থেকে এখন আম নামানো থেকে বিরত থাকলেও আম গাছেই নষ্ট হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবাশীষ কুমার দাস জানাই, এবার উপজেলায় ১৩০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার আমের চাষ বেড়েছে।
জেলা ও উপজেলা ভিত্তিক লকডাউনের ফলে এবার আমের বাজারে এমন পরিস্থিতি। কুষ্টিয়া- কুমারখালী শহরে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ জারি করা হয়েছে। এমন চলতে থাকলে আম চাষীরা আম চাষে নিরুৎসাহিত হবে বলে মনে করেন আম ব্যবসায়িরা।