চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বরিশালগামী এমভি সুন্দরবন-১৬ লঞ্চ মালবাহী কার্গোর ধাক্কায় তলা ফেটে চরে আটকা পড়েছে। এতে এক নারী যাত্রী নিখোঁজ এবং অপর যাত্রী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে মেঘনা নদীর চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার আমিরাবাদ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ রীনা বেগম (৩০) পিরোজপুর জেলার পারের হাট সংকরপাশা এলাকার মো. ওয়ালি উল্লাহর স্ত্রী। স্বামী স্ত্রী দুজনই লঞ্চে ছিলেন।
এই ঘটনার পর লঞ্চে থাকা প্রায় পাঁচ শতাধিক যাত্রী আতংকিত হয়ে পড়েন।
তবে ধাক্কা দেওয়া সেই কর্গো জাহাজটি পালিয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। তিনি জানান, ঘটনার পর যাত্রীদের উদ্ধার ও নিরাপত্তা দিতে চাঁদপুর সদর ও মোহনপুর নৌ-পুলিশ ঘটনাস্থলে কাজ করেছেন। তবে ঘন কুয়াশার কারণে কাজ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
আজ শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে থাকা চাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান জানান, দুর্ঘটনায় একজন যাত্রী নিখোঁজ এবং অপর এক যাত্রী আহত হয়েছেন। আহত যাত্রী চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
দুর্ঘটনায় কবলিত সুন্দরবন-১৬ লঞ্চের সুপারভাইজার সিরাজুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার পর তারা লঞ্চটিকে নিরাপদে মেঘনা নদীর আমিরাবাদ এলাকায় চরে ভেড়ান। এর মধ্যে রাত ৪টার দিকে ডেক এবং প্রথম শ্রেণীর ২৫০ জন যাত্রীকে এমভি সুন্দরবন-১৫ ঘটনাস্থল থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে নিয়ে গেছে।
সুন্দরবন-১৫ লঞ্চের সুপারভাইজার দুলাল জানান, সকাল সাড়ে ৮টায় তারা বরিশাল লঞ্চঘাট গিয়েছেন।
সুন্দরবন-১৪ লঞ্চের সুপারভাইজার মো. ইউনুছ জানান, লঞ্চের কেবিনসহ বাকি প্রায় ২৫০ যাত্রীকে নিয়ে সকাল ৯টায় তারা বরিশাল উদ্দেশ্যে ছেড়ে যান। তাদের যাওয়া পর দুর্ঘটনায় কবলিত লঞ্চটি ঢাকার দিকে রওনা দেয়।
চাঁদপুর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক বশির আলী খান জানান, দুর্ঘটনার পর যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্য পৌঁছানোর জন্য তত্ত্বাবধায়ন করা হয়। এ ছাড়া যাত্রীদের একই কোম্পানির দুটি লঞ্চে করে বরিশালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।