সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আড়াই থেকে তিনশ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। শনিবার (২০ জানুয়ারি) মধ্যরাতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো সালাউদ্দিন মিয়া বাদী হয়ে এই মামলা করেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেন জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম। তিনি জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাঙচুর ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আড়াই থেকে তিনশ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
জানা যায়, সড়ক দুর্ঘটনায় চার ছাত্রলীগ কর্মী নিহতের জেরে শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) মধ্যরাতে উত্তেজিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এ সময় ভাঙচুর করা হয় একটি অ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতালের আসবাবপত্র এবং জরুরি বিভাগের বিভিন্ন সরঞ্জাম। আগুন দেওয়া হয় একটি সরকারি জিপে।এর আগে, শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের ৪ নম্বর বাংলাবাজার রাংপানি এলাকায় প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে চার ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হন।
নিহতরা হলেন, জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট লামাপাড়া গ্রামের জহুরুল মিয়ার ছেলে জুবায়ের আহসান (২৬), নিজপাট তোয়াসীহাটি গ্রামের রণদ্বীপ পালের ছেলে নেহাল পাল রিসব (২৫), নিজপাট পানিহারাহাটি গ্রামের আরজু মিয়ার ছেলে মেহেদী হোসেন তমাল (২৪) ও নিজপাট জাঙ্গালহাটি গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে সুমন আহমদ (২৫) ৷
প্রসঙ্গত, সড়ক দুর্ঘটনায় চার ছাত্রলীগ কর্মীর মৃত্যুর বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৫ কার্যদিবসের মধ্যে দুর্ঘটনার সার্বিক বিষয় তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) ইমরুল হাসান, বিআরটিএ সিলেটের সহকারী পরিচালক রিয়াজুল ইসলাম, জেলা পুলিশের একজন, সিভিল সার্জনের একজন এবং ফায়ার সার্ভিসের একজন থাকবেন।