মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার সালমা আক্তার হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি লাল চাঁন ওরফে রবিনকে ১৯ বছর পর গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪।
সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৪, সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন।
গ্রেফতারকৃত লাল চাঁন সিংগাইর উপজেলার শ্যামনগর গ্রামের করিম গাজির ছেলে। এর আগে, রোববার রাত ৮টার দিকে ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, ভিকটিম সালমা আক্তার (১৯) মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বাস্তা ইউনিয়নের দক্ষিণ শাহরাইল গ্রামে বসবাস করতেন। ২০০০ সালের জুন মাসের ২০ তারিখ আসামি লাল চাঁনের সঙ্গে সালমার বিয়ে হয়। বিয়ের পরে নেশা ও জুয়ায় আসক্ত হয়ে কর্মহীন হওয়ায় সালমার পরিবারের কাছে যৌতুক দাবি করে। তার পরিবার যৌতুক দিতে রাজি না হওয়ায় বেশ কয়েকবার মারপিট ও গালিগালাজ করে সালমাকে তার মায়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে শালিস বৈঠকের মাধ্যমে সালমাকে লাল চাঁন বাড়ি নিয়ে আসে।
২০০৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সালমাকে মারপিট করে সেদিন মেরে ফেলে। খবর পেয়ে ভিকটিমের পরিবারের লোকজন লাল চাঁনের বাড়ি যায়। সেখানে যেয়ে ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন অংশে মারপিটের দাগ ও জখম দেখতে পান। পরের দিন ভিকটিমের মা বাদী হয়ে আসামি লাল চানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনার সত্যতা ও সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে ২০১৭ সালে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
র্যাব কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরিফ হোসেন জানান, মামলা পর থেকেই গ্রেফতার এড়াতে আসামি লাল চাঁন দেশের বিভিন্ন স্থানে ছদ্মনাম (রবিন) ব্যবহার করে আত্মগোপনে থেকে কখনো কাঠমিস্ত্রি আবার কখনো দিনমজুরি করে জীবিকা নির্বাহ করতো। গোপণ সংবাদের রোববার রাতে ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।