টেকনাফে মাদক-অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৪, কক্সবাজারে পৃথক অভিযান চালিয়ে মাদক ও অস্ত্রসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এ সময় দুই লাখ ইয়াবা, বিদেশি পিস্তল ও দুই রাউন্ড তাজা কাতুর্জও জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ভোরে টেকনাফের সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল অ্যান্ড মিডিয়া) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালাম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- টেকনাফের হ্নীলা পূর্ব জাদিমোড়া এলাকার ইয়াসিন আরাফাত কালু, হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনচিপ্রাং এলাকার আবুল কাশেম, তার সহযোগী খুলনার দাকোপ উপজেলার সুতারখালী ইউনিয়নের গুনারি এলাকার নুরুজ্জামান ও খুলনা সদরের সাকির আহাম্মদ সাগর।
আবু সালাম চৌধুরী জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত রাতে র্যাব-১৫ এর একটি দল হ্নীলার পূর্ব জাদিমুড়া এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় ইয়াসিন আরাফাত কালুকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তার তথ্যেমতে, তারই বসতঘর থেকে দুই লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
টেকনাফে মাদক-অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৪, অন্যদিকে, একই রাতে র্যাব হোয়াইক্যংয়ের রইক্যংখালী এলাকায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালায়। এ সময় আবুল কাশেমসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের তল্লাশি করে একটি বিদেশি পিস্তল ও দুই রাউন্ড কার্তুজ জব্দ করা হয়।
আড়ও পড়ুন: ডেঙ্গু মোকাবিলায় সব হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, গ্রেফতার আবুল কাশেম দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্র ও মাদকের ব্যবসা করে আসছিলেন। গ্রেফতার নুরুজ্জামান ও সাগর দু’জনও অস্ত্র ব্যবসায়ী। তারা খুলনা থেকে অবৈধ অস্ত্র-গোলাবারুদ নিয়ে কাশেমের নিয়ন্ত্রণে রাখতো। বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাছে এসব অস্ত্র বিক্রয়ের মূল্য বাবদ নগদ অর্থের পাশাপাশি তারা ইয়াবা নিতো। পরে এসব খুলনায় নিয়ে সেখানকার মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীদের বিক্রয় করতো। নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, চুরি ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে চট্টগ্রাম ও খুলনার একাধিক থানায় ১৩টি মামলা এবং বিভিন্ন মেয়াদে আটবার কারাভোগের রেকর্ড আছে। আর সাগরের বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় মাদক আইনে মামলা চলমান।