1. junayed@bijoy.tv : বিজয় নিউজ ডেস্ক : বিজয় টিভি নিউজ ডেস্ক
  2. boe01@bijoy.tv : বিজয় টিভি নিউজ ডেস্ক : বিজয় টিভি নিউজ ডেস্ক
  3. rafi@bijoy.tv : বিজয় নিউজ ডেস্ক : বিজয় টিভি নিউজ ডেস্ক
  4. rubel@bijoy.tv : support_admin :
একাত্তরের ৩ মার্চের জনসভাতেও বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার কথা বলেন - বিজয় টিভি
ঢাকা সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ১২:০২ পূর্বাহ্ন

একাত্তরের ৩ মার্চের জনসভাতেও বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার কথা বলেন

বিজয় টিভি নিউজ
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৩ মার্চ, ২০২১
  • ৫৩ বার পড়া হয়েছে

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একাত্তরের ৩ মার্চ অনুষ্ঠিত একটি জনসভাতেও স্বাধীনতার কথা বলেছিলেন। সভাতে তিনি না থাকলেও বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলন যেন না থেমে থাকে সেজন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।

বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আমি মরে গেলেও ৭কোটি মানুষ দেখবে দেশ সত্যিকার স্বাধীন হয়েছে। তিনি বলেন, হয়তো এটাই আমার শেষ ভাষণ। আমি যদি নাও থাকি আন্দোলন যেন থেমে না থাকে। বাঙালির স্বাধীনতার আন্দোলন যাতে না থামে।’

জনসভায় বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার কথা বলায় উদ্বেলিত মানুষ ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর, গ্রামে গ্রামে দূর্গ গড় : মুক্তিবাহিনী গঠন কর স্লোগানে রাজপথ প্রকম্পিত করে।

একাত্তরের ৩ মার্চ পল্টনে ছাত্রলীগ এবং শ্রমিকলীগের উদ্যোগে এক বিশাল জনসভায় বঙ্গবন্ধু এ আহ্বান জানান। পরদিন ৪ মার্চ দৈনিক ইত্তেফাক এবং আজাদে সভার বিস্তারিত ছাপা হয় ।

নূরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বঙ্গবন্ধুকে বাংলার স্বাধীকার আন্দোলনের সর্বাধিনায়ক ঘোষনা করা হয় । জনসভায় বক্তব্য রাখেন তোফায়েল আহমেদ, শ্রমিক নেতা আবদুল মান্নান এবং ডাকসু নেতা আবদুল কুদ্দুস মাখন। অজ্ঞাত কারনে এদিন আ স ম আবদুর রব বক্তৃতা করেননি। তার বক্তৃতা দেয়ার আগেই বঙ্গবন্ধু সভায় পৌছে যান।

ড. মোহান্মদ হান্নান তার ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’ গ্রন্থে এ ব্যাপারে বিস্তারিত লিখেছেন। তিনি লিখেন, বঙ্গবন্ধু এদিন ভাষণে অফিস আদালতে যাওয়া এবং কর খাজনা দেয়া বন্ধ রাখতে বলেন। রেডিও, টেলিভিশন, সংবাদপত্রে বিধি নিষেধ আরোপ করলে তিনি তা মান্য না করার নির্দেশ দেন।

বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘দানবের সাথে লড়াইয়ে যে কোন পরিণতিকে মাথা পেতে বরণের জন্য আমরা প্রস্তুত। তেইশ বছর রক্ত দিয়ে এসেছি। প্রয়োজন বোধে বুকের রক্তে গঙ্গা বহাইয়া দেব। তবু সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও বাংলার বীর শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানি করব না ।’

এর আগে ৩ মার্চ রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঢাকায় পাকিস্তানের নির্বাচিত রাজনৈতিক দলের নেতাদের একটি বৈঠক ডাকেন। আমন্ত্রিতদের তালিকায় উল্লেখযোগ্যরা ছিলেন- পাকিস্তান আওয়ামীলীগের শেখ মুজিবুর রহমান, পাকিস্তান পিপলস পার্টি থেকে জুলফিকার আলী ভুট্টো, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি থেকে খান আবদুল ওয়ালী খান, পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কাইউম) থেকে খান আবদুল কাইউম খান, মুসলিম লীগ কাউন্সিল থেকে মিয়া মোমতাজ দৌলানা প্রমুখ ।

বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবুর রহমান, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার এই রাজনৈতিক সভাকে বন্দুকের নলের মুখে ‘নিষ্ঠুর তামাশা’ বলে অভিহিত করে তা প্রত্যাখান করেন।

বাংলা একাডেমি পুরষ্কার প্রাপ্ত লেখক, কবি এবং সাংবাদিক আবুল মোমেন ৩ মার্চের জনসভায় বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলা প্রসঙ্গে বাসস’কে বলেন, আগে থেকে পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি এদিনের জনসভাতেও স্বাধীনতার প্রসঙ্গটি এনেছিলেন। যদিও জোরালোভাবে তা উচ্চারিত হয়েছিল ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে।

তিনি বলেন, অনেক আগে থেকে বিচ্ছিন্নভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিষয়টি আলোচিত হলেও সত্তর দশকে এবং আগে সংগঠিত নানা আন্দোলন সংগ্রামে স্বাধীনতার প্রত্যাশাটি আরো বেশি জোরালো হয়ে উঠে। স্বাধীনতার প্রতি জনগনের প্রত্যাশা অনুধাবন এবং পাকিস্তানীদের প্রতিক্রিয়া এবং প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণের জন্য ৩ মার্চের জনসভায় বঙ্গবন্ধু স্বাধানতার প্রসঙ্গটি তুলেছিলেন বলে মনে করেন আবুল মোমেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
রোজাকে ‘বার্বি ডল’ বলছেন ভক্তরা

রোজাকে ‘বার্বি ডল’ বলছেন ভক্তরা

রবিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৫
১২ কেজি এলপি গ্যাসের দাম কমলো

১২ কেজি এলপি গ্যাসের দাম কমলো

রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫
হজ ও ওমরাহ নিয়ে বিশাল সুখবর!

হজ ও ওমরাহ নিয়ে বিশাল সুখবর!

শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০২৫

সাম্প্রতিক পোস্ট

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
© সর্বসত্ব সংরক্ষিত ২০২৫ বিজয় টিভি || All Rights Reserved.