করোনার অজুহাতে প্রকল্পের কাজে শৈথিল্য দেখানোর সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ২০২০-২১ অর্থবছরে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল ও বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রকল্পসমূহের এপ্রিল, ২০২১ অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব মোঃ তৌফিকুল আরিফ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ শেখ আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল জলিল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোঃ আব্দুল মতিনসহ পরিকল্পনা শাখার কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক এবং পরিকল্পনা কমিশন ও আইএমইডি এর প্রতিনিধিগণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভায় প্রকল্প পরিচালকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, “প্রকল্প বাস্তবায়নে আন্তরিকতা, একাগ্রতা, সততা ও আত্মনিয়োজনের পাশাপাশি দেশপ্রেম অপরিহার্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবিরাম পরিশ্রম করে করোনাকালেও বাংলাদেশকে বড় বড় অনেক রাষ্ট্রের চেয়ে ভালো অবস্থানে নিয়ে গেছেন। সে জায়গা আপনাদের ধারণ করতে হবে। রাষ্ট্রের জনগণকে কতটা সেবা দিচ্ছেন, এটা মনে রাখতে হবে।”
মন্ত্রী আরো বলেন, “প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের কোনো নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের দায় মন্ত্রণালয় বহন করবে না। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সকল অনুশাসন যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে। প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নে শৃঙ্খলা ও কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। প্রকল্পের ক্রয় কাজে যথাযথভাবে পিপিআর অনুসরণের কথা প্রকল্প পরিচালকদের কেন বারবার স্মরণ করে দিতে হবে? কাজ সম্পাদন ব্যতীত কোনোভাবেই প্রকল্পের অর্থ ব্যয় করা যাবে না।”
সভায় ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ উপখাতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ১৯টি, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ১টি এবং বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ৭টিসহ মোট ২৭ টি প্রকল্পের এপ্রিল, ২০২১ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। এ প্রকল্পসমূহের এপ্রিল, ২০২১ পর্যন্ত আর্থিক অগ্রগতি ৫৫.৯৫ শতাংশ, যেখানে জাতীয় গড় অগ্রগতি ৪৯.০৯ শতাংশ।