ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক শাকিব খানকে নতুন করে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার পরিবার। নায়কের ‘প্রাক্তন’ দুই স্ত্রীর রেষারেষি ও কথার দ্বন্দ্ব বন্ধ করার জন্যই এমন উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। একইঙ্গে শাকিব খানের বাড়িতে অপু বিশ্বাস ও বুবলীর প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে।
সম্প্রতি এই দুই নায়িকার একাধিক সাক্ষাৎকারকে কেন্দ্র করে বিরক্ত শাকিব খান ও তার পরিবার। দু’জনেই নিজেদের শাকিবের বৈধ স্ত্রী বলে দাবি করেছেন। যেখানে এই নায়ক মনে করেন, বুবলী-অপু দুজনেই তার জন্য অতীত।
শুধু তাই নয়, অপু-বুবলী দুজনেরই দাবি- শাকিব খানের বাড়িতে তাদের নিয়মিত যাতায়াত হয়। এই নায়কের পরিবারের সঙ্গেও খুব ভালো সম্পর্ক। এমনকি শাকিবের সঙ্গেও ‘কোয়ালিটি টাইম’ কাটানো হয়।
শাকিব-বুবলীর ‘কোয়ালিটি টাইমে’ রুমে প্রবেশ নিয়ে মুখ খুললেন অপু
এই বিষয়গুলোকে কেন্দ্র করেই শাকিবকে নতুন করে বিয়ে করানোর বিষয়ে ভাবছে তার পরিবার। একইসঙ্গে অপু-বুবলীকেও নিষেধ করা হয়েছে শাকিবের বাসায় যাতায়াতে।
বিষয়গুলো নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন অপু বিশ্বাস। যেখানে তিনি বলেছেন, বিরক্ত হয়েই শাকিবের পরিবার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শাকিবের বাড়িতে যাতায়াত বন্ধ হওয়া প্রসঙ্গে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘মানুষ যখন অতিরিক্ত কিছু করে ফেলেন, তখন একজনের দোষ অন্যজনের কাঁধে চলে আসে। বিষয়টা ঠিক এরকমই হয়েছে।
বিরক্ত হয়েই শাকিবের পরিবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
এসময় বুবলীর কাণ্ডকীর্তি তুলে ধরে অপু বিশ্বাস আরও বলেন, ‘‘আমি শাকিবের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম পার করি; আমাদের বাচ্চা অনেক সময় সে সুযোগ করে দেয়।” এরপর কৌশলে শাকিবের সঙ্গে ছবি তুলে এনে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে সম্পর্ক টিকে আছে, প্রমাণ করতে চায়, সেসবে অবশ্যই শাকিব ও শাকিবের পরিবার বিরক্ত হবেনই।’
শাকিব খানের বিয়ে প্রসঙ্গে অপু বলেন, ‘যাদের বিষয়ে কথা হচ্ছে, তারা সকলেই অ্যাডাল্ট। প্রত্যেকেরই নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে। ভালো লাগা আছে। তবে আমার আচরণে শাকিবের পরিবারের এমন সিদ্ধান্ত নেবে, এটা বিশ্বাস করি না। শাকিবকে নিয়ে অন্য একজনের (বুবলী) কথাবার্তা কেমন, তা এখন সবার জানা। তার কারণে শাকিবের পরিবার বিরক্ত হতে পারে।’
এদিকে শাকিবের বাড়িতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে বুবলী বলেছেন, ‘আমাকে ওই বাসায় আমন্ত্রণ জানানো হয় বলেই যাই। তার বাসায় যাব কি যাব না এটা যেমন শাকিবের সিদ্ধান্ত হতে পারে, তেমনি আমারও সিদ্ধান্ত হতে পারে। কারণ আমাদের সন্তান আছে। আর সন্তানের নিরাপত্তাই সবার আগে।’