বলিউডে স্বজনপ্রীতি বা নেপোটিজম বিতর্ক দীর্ঘদিনের। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর এই বিতর্ক আরও তীব্র আকার ধারণ করে। তবে সম্প্রতি এই বিষয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা রাজপাল যাদব। তার মতে, বলিউডে কোনো স্বজনপ্রীতি নেই।
রাজপাল যাদব ভারতীয় গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে, অভিনেতাদের সাফল্য সম্পূর্ণরূপে তাদের প্রতিভা এবং দর্শকদের প্রতিক্রিয়ার উপর নির্ভরশীল। তিনি শাহরুখ খান, পরেশ রাওয়াল, অনুপম খের, অক্ষয় কুমার, জনি লিভার, সঞ্জীব কুমার, রাজেশ খান্না এবং ধর্মেন্দ্রের মত তারকাদের উদাহরণ দেন, যারা কোনো স্টারকিড না হয়েও বলিউডে নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন।
তার কথায়, ‘পরিচিতির কারণে বলিউডে হয়তো প্রাথমিক সুযোগ পাওয়া সম্ভব, কিন্তু সত্যিকারের সাফল্য নির্ভর করে অভিনেতার ভেতরের প্রতিভা এবং দর্শকদের ভালোবাসার উপর। যদি নেপোটিজম থাকত, তাহলে শাহরুখ খান, রাজপাল যাদব, পরেশ রাওয়াল, অনুপম খের, অক্ষয় কুমার, জনি লিভার, সঞ্জীব কুমার, রাজেশ খান্না এবং ধর্মেন্দ্র কীভাবে এত বড় তারকা হতেন?’
রাজপাল যাদব ব্যক্তিগত জীবনের উদাহরণ উল্লেখ করে বলেন, ‘আমার পরিবারে কেউ আমাকে বলিউড বা থিয়েটারে যোগ দিতে বলেনি, আমি নিজের ইচ্ছায় এসেছি। আমি আমার সন্তানদেরও একই কথা বলেছি – খেলাধুলা বা সিনেমায় কেউ কারো জীবন তৈরি করে দিতে পারে না। তোমার ভেতরের সৎ এবং ভালো মানুষটি যদি তোমাকে বলে যে তুমি এটা করতে পারবে, তাহলেই করো নয়তো নয়।’
রাজপালের মতে, ‘যদি আপনি একজন খেলোয়াড় হন, আপনার সন্তান খেলার সুযোগ পাবে। একইভাবে, যদি একজন ব্যক্তি ৩০ বছর ধরে চলচ্চিত্র বা টেলিভিশনে কাজ করে, তার সন্তান অবশ্যই জানবে যে তার বাবা কী করেন। সে হয়তো চলচ্চিত্র নির্মাণ শিখবে, কিন্তু তা চলবে কি চলবে না, সে কাজ করতে পারবে কি পারবে না, তার শক্তি আছে কি নেই, তা ঠিক করেন ওপরওয়ালা বা দর্শক, নেপোটিজম নয়।’
উল্লেখ্য, ২০০০ সালে রাম গোপাল বর্মার ‘জঙ্গল’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে রাজপাল যাদব পরিচিতি লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি তার হাস্যরসাত্মক অভিনয়ের জন্য ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন এবং অসংখ্য পুরস্কার লাভ করেন। তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘এক আর এক গিয়ারাহ’, ‘মুঝসে শাদি করোগি’, ‘ভুল ভুলাইয়া’ এবং ‘ভাগম ভাগ’।