কথায় আছে মনের ক্ষুধা মেটাতে পারে গান। সভ্যতার শুরু থেকে মানুষের বিনোদনের তালিকায় নাচের পাশাপাশি উঠে এসেছে এই মাধ্যমটি। ধীরে ধীরে গানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিল্পী, গীতিকার, সুরকার এমনকি যন্ত্রশিল্পীদের জীবিকা নির্বাহে অর্থের বিনিময়ে পরিবেশিত গান হয়ে ওঠে পেশাদার একটি সৃজনশীল মাধ্যম।
করোনাকালে ঘরবন্দী থাকতে থাকতে বন্ধ হতে বসেছে শিল্পীদের প্রধান উপার্জনের পথ স্টেজ শো। তাদের ভাষ্যে, এরইমধ্যে অনেকটা বিনা উপার্জনে কেটেছে তিন মাসেরও অধিক সময়।
নানা মানুষের অনুরোধে তাদের গান শোনাতে হয়েছে কিংবা অতিথি হয়ে বক্তব্য রাখতে হয়েছে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আয়োজিত অন্তর্জাল অনুষ্ঠানে। যার বেশিরভাগই ছিল বিনা সম্মানীতে।
আর এই সংকট কাটানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রজন্মের সংগীতশিল্পীরা টানা কয়েকটি অন্তর্জাল বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ‘আর কোনও ফ্রি অনুষ্ঠান নয়।’ ২৪ জুন সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেন শতাধিক শিল্পী। ‘শিল্পের সম্মানে-শিল্পীদের বাঁচান’ এমন স্লোগান দিয়ে শুরু করা হয় বিবৃতিটি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, করোনার ছোবলে এক ভয়াবহ দুঃসময়ের মুখোমুখি সংগীত সংশ্লিষ্টরা। আর তাই এখন সব কণ্ঠশিল্পী, যন্ত্রশিল্পী, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক এবং সংগীত সংশ্লিষ্ট সবারই একত্রিত হওয়ার সময়।
সঙ্গীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদার জানান, ‘প্রথম ধাপে যাবতীয় ফ্রি পারফরম্যান্স বা অ্যাপিয়ারেন্স বন্ধ করতে হবে।’ সবার পক্ষ থেকে মুহিন খান জানান, ‘সবাই যে ফ্রি শো করাচ্ছেন, সেটাও নয়। শঙ্কার বিষয় হলো, দিন যত যাচ্ছে ফ্রি শো করানোর প্রস্তাব ও আয়োজন ক্রমশ বাড়ছে। এই ফ্রি কালচার থেকে শিল্পীরা মুক্তি চান।’
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি