চোখের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় পাপড়ি। পাশাপাশি চোখের সুরক্ষায় পাপড়ি ভূমিকা রাখে। তবে প্রায় সময় চোখের পাপড়ি ঝরে পড়ে। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার, তবে অনেক সময় গুরুতর রোগের লক্ষণ হতে পারে এটি। মার্কিন স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট রিয়েলসিম্পল ডটকমের এক প্রতিবেদনে এ নিয়ে বলা হয়েছে।
যুক্তষ্ট্রের ত্বক-বিশেষজ্ঞ ডা. পল জ্যারোড ফ্র্যাঙ্ক এ বিষয়ে বলেন, চোখের পাপড়ি ঝরে যাওয়া স্বাভাবিক তবে এটা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সেই কারণগুলো জানা থাকা ভালো। অনেক সময় এটা জটিল হতে পারে। ভুল পণ্য ব্যবহার করা, মানসিক চাপে থাকা বা নকল পাপড়ি লাগালে ভুলভাবে ওঠানোর সময় এরকম সমস্যা হয়। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণও থাকতে পারে।
তিনি বলেন, মাথার চুলের মতো চোখের পাপড়িও প্রাকৃতিক নিয়মে প্রতি ছয় থেকে ১০ সপ্তাহের ব্যবধানে ঝরে যায়। তাই পাঁচ থেকে ১০টা পাপড়ি পড়া স্বাভাবিক। তবে পাপড়ি ঝরে হালকা হয়ে যাওয়ার সাথে বয়স বাড়ার সম্পর্ক রয়েছে। তাই বয়সের সাথে এই সমস্যা দেখা দিলে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।
যেসব কারণে চোখের পাপড়ি ঝড়ে যায়:
অ্যালার্জির সমস্যা: যদি চোখের পাপড়ি পড়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয় তবে প্রসাধনীর উপকরণের তালিকার দিকে নজর দিন। চোখের মেইকআপ, মেইকআপ রিমুভার, ত্বকের যত্নে নানান পণ্য এমন কি নেইল পলিশ থেকে সাধারণ ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর সমস্যা অতিরিক্ত হলে চোখের পাপড়ি ঝরতে দেখা যায়। যদি মনে হয় কোনো পণ্য ব্যবহারের কারণে চোখের পাপড়ি পড়ছে তবে অ্যালার্জির পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
থাইরয়েডে সমস্যা: থাইরয়েড শরীরের হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে। এই গ্রন্থিতে সমস্যা দেখা দিলে হরমোন অতিমাত্রায় সক্রিয় বা নিষ্ক্রিয় হয়। যা থেকে চোখের পাপড়ি ঝরে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। এতে ঘাবড়ে না গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ব্লেফারাইটিস: এই সমস্যা হলে গ্রন্থি আটকে প্রদাহ তৈরি করে। ফলাফল চোখের পাপড়ি ঝরা। এটা দেখা দিতে পারে চাখের পাতায় অতিমাত্রায় ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ থেকে। মার্কিন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ অড্রি কুনিন বলেন, এক্ষেত্রে চোখের পাতা দেখতে ফোলা ও খসখসে লাগে, লালচে হয়, চোখ দিয়ে পানি পড়ে ও আঠালো অনুভূত হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে ‘আই স্প্রে’ বা মলম ব্যবহারে পরিত্রাণ মেলে।
নকল পাপড়ি ব্যবহার: চোখ আরও সুন্দর করার জন্য অনেকেই নকল পাপড়ি ব্যবহার করেন। চোখের পাপড়ি ঝরে যাওয়ার কারণের মধ্যে এটিও হতে পারে। কারণ নকল পাপড়ি চোখে লাগানোর জন্য এক ধরণের আঠা ব্যবহার করা হয়। অনেক সময় ওই আঠা থেকে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া আঠা চোখের আসল পাপড়ির সাথেও লেগে থাকে। যদি সঠিকভাবে তোলা না হয় তবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আসল পাপড়ি।