নিজেকে পরিষ্কার রাখার জন্য গোসল তো আমরা রোজই করি। গোসলের ফলে আমাদের শরীরে, ত্বকে ঘামের সঙ্গে জমে থাকা ব্যাক্টেরিয়া পরিষ্কার হয়ে যায়। কিন্তু জলে লবন মিশ্রিত পানিতে গোসল করার যে কত উপকারিতা, তা কি জানেন? অনিদ্রা, অবসাদ বা ত্বকে জীবানুর সংক্রমণ ঠেকাতে লবণ পানিতে গোসল একেবারে অব্যর্থ দাওয়াই। আসুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক-
১) নিয়মিত লবণ পানিতে গোসল করতে পারলে শরীরে জীবানুর সংক্রমণ, ত্বকের সমস্যা সহজেই দূরে রাখা সম্ভব।
২)রোজ লবণ পানিতে গোসল করতে পারলে শরীর থেকে টক্সিন ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে। ফলে বাড়বে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও।
৩) লবণ পানিতে গোসল করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। একই সঙ্গে ত্বকের আর্দ্রতাও বজায় থাকে।
৪) লবণ পানিতে গোসল শরীরে রোমকূপের মধ্যে দিয়ে একাধিক প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ যেমন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, সোডিয়াম ত্বকে প্রবেশ করে। ফলে ত্বক থাকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল, দীপ্তিময়।
৫) লবণ পানিতে গোসল ত্বকের বলিরেখা বা বয়সের ছাপ পড়ার গতি মন্থর হয়ে যায়। তাছাড়া, নিয়মিত নুন জলে স্নানের অভ্যাস ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রেখে ত্বককে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তোলে।
৬) লবণ পানিতে গোসল করার অভ্যাস শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করে। বাত বা আর্থারাইটিসের ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রেও লবণ পানিতে গোসল অত্যন্ত কার্যকরী।
৭) কাজ সেরে বাড়ি ফিরে লবণ পানিতে গোসল করলে শারীরিক ক্লান্তি, অবসাদ কেটে যায় সহজেই। ফলে রাতে ঘুমও ভাল হয়। শীতকাল ছাড়া শোবার আগে লবণ পানিতে গোসল করতে পারলে অনিদ্রার সমস্যাও অনেকটাই কেটে যাবে।