শীত মানেই জড়তা। সবকিছুতে অলসতা এসে ভর করে যেন এই সময়। লেপ-কম্বলের উষ্ণতা ছেড়ে উঠতে মন চায় না সহজে। আরেকটু বেশি সময় গড়গড়ি করার জন্য বিছানাটা ডাকে যেন। এদিকে দীর্ঘ সময় লেপ-কম্বল মুড়িয়ে থাকার পরেও হাত-পা গরম হতে চায় না অনেকের। হাত-পা যেন বরফশীতল হয়ে থাকে! এদিকে সব সময় গ্লাভস-মোজা পরে থাকাও নিশ্চয়ই সম্ভব নয়। তবে গ্লাভস কিংবা মোজা না পরেও হাত-পা গরম রাখার আছে কিছু উপায়।
হাত-পা যে কারণে ঠান্ডা হয়:
রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকলে অ্যানিমিয়া হয়। এই রোগ হলে স্বাভাবিকভাবেই ঠান্ডা হয়ে যায় হাতের তালু। শুধু শীতে নয়, সারা বছরই এই সমস্যা ভোগ করতে হয় রোগীকে। এক্ষেত্রে রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে লোহা সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেতে হবে।
- শীতে ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই ঠান্ডা হয় হাত-পা। যাদের রক্ত সঞ্চালন কম হয়, শীতে তাদেরই দ্রুত হাত ও পায়ের তালু ঠান্ডা হয়ে যায়।
- শরীরে ভিটামিন বি-১২-এর মাত্রা কম থাকলে ঠান্ডা লাগে বেশি। এক্ষেত্রেও সারা বছর হাতের তালু ঠান্ডা থাকে। সমাধান পেতে দুধ, মাছ, মাংস, ডিম জাতীয় খাবার রাখুন পাতে।
- ধূমপান করলে তার প্রভাব পড়ে শরীরে। এর ফলে রক্ত সঞ্চালন প্রভাবিত হয়। তাই ঠান্ডাও লাগে বেশি। ধূমপান শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর এ কথা সবারই জানা। তাই ধূমপান এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
যেভাবে হাত-পা গরম রাখবেন:
- প্রতিদিন সময় করে শরীরচর্চা করার চেষ্টা করুন। এটি সকালবেলা হলে ভালো হয়। এতে হৃদযন্ত্র ভালো থাকবে। সেইসঙ্গে রক্ত সঞ্চালন দ্রুত হবে। ফলে ঠান্ডা কম লাগবে।
- হাতে বেশি ঠান্ডা লাগলে আঙুলগুলো ফাঁকা না করে জোড়া রাখার চেষ্টা করুন। এতে অনেকটা আরাম পাবেন। সুযোগ পেলে হালকা গরম পানিতে হাত-পা ডুবিয়ে রাখুন। তারপর পুরো শুকিয়ে নিন। ঠান্ডা অনেকটাই কম অনুভূত হবে।
- শীতে চা, স্যুপ ইত্যাদি জাতীয় খাবার একটু বেশিই খাওয়া হয়। এগুলো আপনার শরীরে উষ্ণতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে। সম্ভব হলে চায়ের মগ হাতে ধরে থাকুন কিছুক্ষণ। গরম অনুভূত হবে।
- জ্যাকেটের পকেট বা শালের নিচে দু’হাত ঢুকিয়ে রাখুন। হাত গরম থাকবে। সম্ভব হলে পায়ে মোজা পরে থাকার চেষ্টা করুন।