বড় মাছের তেল স্বাস্থ্যহানি করে। সেই ভয়ে ভালোবাসা থাকলেও যতটা দূরে থাকা যায় তার চেষ্টা করে একাংশ। কিন্তু সত্যিই কি মাছের তেল স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর? অনেকেই মনে করেন মাছের সাদা অংশ আর মাথাটাই পষ্টি জোগায়। তেল খাওয়া উচিত নয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাাছের মতোই তার তেল সমান পুষ্টিকর।
প্রেটিন, ওমেগা-থ্রি ফ্যাট অ্যাসিড, প্রচুর ভিটামিন(এ, ডি), আয়োডিন ছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে মাছের তেলে। যা আমাদের শরীরে অতি প্রয়োজনীয় পুষ্টি। পাশাপাশি মাছের ৭০ শতাংশ জুড়ে রয়েছে অন্যান্য ফ্যাট।
মাছের তেলে ভিটামিন এ ও ডি ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, কপার পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। তাই ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস ঘাটতিতে ছোট মাছ কাঁটাসহ চিবিয়ে খেলে ভালো। এছাড়া সামুদ্রিক মাছে রয়েছে আয়োডিন যা থাইরয়েডর রোগীদের জন্য উপকারী।
মাছের তেলের উপকারিতা নিয়ে আজ সারা বিশ্ব সোচ্চার। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে- প্রদাহ জনিত অসুবিধা, চর্মরোগ, ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা, রিউম্যাটিক আর্থ্রাইটিস, হার্ট ডিজিস এবং কোন কোন ক্যান্সারে এর ফল চমৎকার। প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ২৫ গ্রাম করে মাছ খাওয়া উচিত।
মাছের তেল প্রোস্টাগ্লাভিন নামে একটি রাসায়নিক গঠনে বাধা দেয় যা শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এছাড়া মাছ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।