বিশুদ্ধ পানির অপর নাম জীবন। হাইড্রোজে আর অক্সিজেনের এই যৌগ পদার্থ ছাড়া দেহ চলতে পারে না। হাইড্রেশন সকল জৈবিক প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কার্যকর থাকে। পানিকে প্রকৃতির সবচেয়ে শক্তিশালী সম্পদ এবং আমাদের জন্যে আশীর্বাদ বলে মনে করা হয়। আমরা অনেক ভঙ্গিতেই পানি পান করি। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, দাঁড়িয়ে পানি খাবেন না। পানি পান করতে হয় বসে। এর কারণ হিসেবে বিজ্ঞান কী বলছে তা জেনে নেয়া যাক।
আয়ুর্বেদ কী বলছে– এ সম্পর্কে আয়ুর্বেদও তথ্য দিয়েছে। তারা বলে, যখন আপনি দাঁড়িয়ে পানি খাবেন, তখন আপনার পাকস্থলীর দেয়ালে বেশ চাপ পড়ে। কারণটা হলো, পানি তখন অন্ননালী বেয়ে সরাসরি পানি পাকস্থলীতে পৌঁছে। এতে পানি প্রবাহের গতি বেশি থাকে এবং পাকস্থলীর দেয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আবার দাঁড়িয়ে খেলে দেহ পানি থেকে কোনো ধরনের পুষ্টি ও খনিজ গ্রহণ করতে পারে না।
দেহের ওপর যেমন প্রভাব পড়ে – দাঁড়িয়ে পানি খেলে দেহের ওপরও বিরূপ প্রভাব পড়ে। খুব জোরেশোরে পানি নিচের দিকে নামতে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এতে মূত্রথলীতে পরিশোধন ছাড়াই পানি জমা পড়তে থাকে। এতে ধীরে ধীরে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ব্যথা সৃষ্টি – পানি খাওয়া এবং তা পানের ভঙ্গী একে অপরের সঙ্গে জড়িত। সোজা দাঁড়িয়ে পানি খেলে গলা থেকে তেমন কোনো বাধা ছাড়াই পানি প্রবল বেগে নামতে থাকে। দেহের বায়োলজিক্যাল সিস্টেমের যেকোনো স্থানে আঘাত লাগতে পারে। এতে ওই স্থানে বা হাড় ও পেশির সংযোগস্থলে সহজেই ব্যথা হয়।
ফুসফুসের সমস্যা – প্রশ্ন করতে পারেন পানি খাওয়ার সঙ্গে ফুসফুসের সম্পর্ক কী? গবেষণায় বলা হয়, দাঁড়িয়ে পানি খেলে খাদ্য ও বায়ু প্রবাহের নালীগুলোতে অক্সিজেন সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এতে কেবল ফুসফুসই নয়, হৃদযন্ত্রেও সমস্যা দেখা দেয়া বিচিত্র নয়।
বসে খান- কাজেই চেয়ারে বসে নিন। তারপর গ্লাসে চুমুক দিন। এতে করে পানিপ্রবাহ বেশ ধীরগতির হবে এবং দেহ পানি থেকে যথেষ্ট পুষ্টি ও খনিজ শুষে নেবে। স্নায়বিক চাপেও ভুগতে হবে না। গোটা দেহে সঠিকভাবে পানির ব্যবহার ঘটবে।