নতুন রাজনৈতিক দল গঠন হলে বিএনপি তাকে স্বাগত জানাবে। তবে এক্ষেত্রে রাষ্ট্র কিংবা প্রশাসনের সহযোগিতা নিলে তা হতাশাজনক হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি জানান, এই প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও স্বাভাবিক হওয়া দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় শিক্ষক দিবস ও শিক্ষক সমাবেশে তিনি একথা জানান।
তিনি জানান, পলাতক স্বৈরাচার মুক্তিযুদ্ধসহ সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। নির্বাচন কমিশন এবং দুদকের মতো প্রতিষ্ঠানকেও অকার্যকর করে দিয়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধানসহ বেশ কয়েকটি সংস্কার কাজ হাতে নিয়েছে। এমন অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার সাথে দুই একটি প্রক্রিয়াগত বিষয় ছাড়া বিএনপির কোনো ভিন্নমত নেই। সংস্কার ও নির্বাচন দুটোরই পক্ষেই বিএনপি।
দেশের মানুষের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তাদের সংসার চালানো। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ে তারেক রহমান বলেন, উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে বাজারের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করাসহ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এই সরকারের মতো সরকারের পক্ষে সিন্ডিকেট থেকে মুক্তি দেয়া সহজ। জনগণের ওপর ভ্যাটের বোঝা কেন চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। এই সরকার এখনও কেনো বাজার সিন্ডিকেট নষ্ট করতে পারেনি। সরকার কেউ কেউ অন্য দিকে মনোযোগী হওয়ায় দ্রব্যমূল্য সরকারের অধীনে আসছে না বলে এমনটা হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্ন তোলেন তারেক রহমান। তবে সীমাবদ্ধতা থাকা স্বত্বেও এই সরকারকে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
নতুন রাজনৈতিক দল গঠন নিয়ে তারেক রহমান বলেন, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় কেউ যদি রাজনৈতিক দল গঠন করতে চায় অবশ্যই বিএনপি তাকে স্বাগত জানায়। তবে রাজনৈতিক দল গঠন করতে গিয়ে কেউ যদি রাষ্ট্রীয় কিংবা প্রশাসনিক সহায়তা নেয় তা হবে হতাশাজনক। অন্য রাজনৈতিক দলের প্রতি তাদের আচরণ ঝগড়াসূলভ বা প্রতিহিংসামূলক হয় সেটিও জনগণের কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত হবে। তরুণরা আগামীর ভবিষ্যৎ। তারাই সামনে নেতৃত্ব দেবে। তবে তা যেন কোনো প্রশ্নবিদ্ধ পথে না হয় এমন আহ্বানও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, জনগণ যদি বৃহত্তর স্বার্থে সরকারের ব্যর্থতা মেনে নিতে পারে, তাহলে সরকার পক্ষ থেকেও যেকোনো বিষয়ে ধৈর্য সহকারে মেনে নেয়া উচিত। বিএনপির কার্যক্রম নিয়ে কেউ যেন ষড়যন্ত্র করতে না পারে এজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বানও জানান তারেক রহমান।