প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল খালেদা জিয়া। থাকতে পারেনি। ভোট চুরি করলে জনগণ মেনে নেয় না। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়ার পতন ঘটে। ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হয়। তারপর পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। কিন্তু ওদের শিক্ষা হয়নি। তাই আবারও ২০০১ সালে ভোট কারচুপি, ভোট চুরি, জনগণের ভাগ্য নিয়ে খেলা শুরু করে। তাদের দুঃশাসনের কারণে দেশে ইমার্জেন্সি (জরুরি অবস্থা জারি) হয়
খালেদা জিয়া ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েও পারেনি, আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তার পতন ঘটে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভোট চুরি করলে জনগণ মেনে নেয় না।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন থেকে পাঁচটি জেলা ও একটি উপজেলার নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে আমি যখন গ্যাস বিক্রি করতে রাজি হইনি, তখন ষড়যন্ত্রের শিকার হই। ক্ষমতা আসতে পারেনি। গ্যাস বিক্রি করার মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় বিএনপি-জামায়াত জোট আসে। ক্ষমতায় এসেই তারা দুর্নীতি লুটপাত, জঙ্গিবাদ, বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা এবং আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের অকাট্য নির্যাতন শুরু করে। তাদের দুর্নীতি এমন পর্যায়ে চলে যায়, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ও আরেক দিকে তারেক যে হাওয়া ভবন খুলে দুর্নীতির আখড়া গড়ে তোলে। ব্যবসা-বাণিজ্য সর্বক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করে। যার ফলে দেশে চরম অরাজকতার সৃষ্টি হয়। তারা জানত জনগণ তাদের ভোট দেবে না প্রত্যাখ্যান করবে, তখন তারা এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার লিস্ট তৈরি করে। সেভাবে নির্বাচন করার প্রচেষ্টা নেয়। সেখানে তারা ব্যর্থ হয়।
তিনি বলেন, ২০০৮ নির্বাচনে বিএনপির ৩০০ আসনের মধ্যে ৩০টি সিট পেয়েছিল। আওয়ামী লীগ ২৩৩ সিটে জয়ী হয়। আর অন্য সিটগুলো আমাদের জোটের শরিকরা পেয়েছিল। বর্তমানে দলটির আগুন সন্ত্রাস ও দুর্বৃত্তায়নের জবাব ৭ জানুয়ারিতে ভোটের মাধ্যমে দিতে হবে। দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ধারাবাহিকভাবে দেশে গণতন্ত্র ও দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে পেরেছে আওয়ামী লীগ সরকার। আর এ কারণে দেশের উন্নয়নে কাজ করার সৌভাগ্য হয় আমাদের। যার ফলে আজকের বাংলাদেশে, বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতায় এসেই আমরা লক্ষ্য স্থির করেছিলাম, বাংলাদেশের উন্নয়ন করব, দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করব, সেসব বিষয়ে অগ্রগতি লাভ করেছি। দেশে দারিদ্রের হার কমানো হয়েছে, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে, শিক্ষার হার বাড়ানো হয়েছে। মূলত দেশের উন্নয়ন ব্যাপকভাবে করা হয়েছে।