কৃষিপণ্যের সঠিক বিপণনের জন্য দেশের সব বড় কোম্পানিগুলোকে কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, মহামারিকালেও চালের রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে। অন্যান্য ফসলের উৎপাদনও বেড়েছে। উৎপাদনে কোন সমস্যা নেই, কিন্তু বিপণন ও সরবরাহ ব্যবস্থা কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণে সব বড় কোম্পানিগুলো এগিয়ে না আসলে সুষ্ঠু ও টেকসই বিপণন ব্যবস্থা গড়ে তোলা যাবে না।
আজ (২৫ আগস্ট) সচিবালয়ে ঢাকা চেম্বার অভ্ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘মহামারিতে খাদ্য নিরাপত্তা এবং সরবরাহ নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, এ বছর আম ও আলুর উৎপাদন বেশি। উৎপাদন বেশি হলে বিপণনে সমস্যা দেখা দেয়। তবে প্রক্রিয়াজাত করে আমের জুস, জেলি, আলুর চিপস প্রভৃতি ব্যাপকহারে করতে পারলে বিপণনের সমস্যা সমাধান হবে। কৃষকেরা ভাল দাম পাবে। এক্ষেত্রে এফবিসিসিআই ও ডিসিসিআইকে কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নিরাপদ ও মানসম্পন্ন খাদ্য নিশ্চিতে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। এক্ষেত্রে বিএসটিআই ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে আরো শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে।
কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি এবং মানসম্পন্ন পণ্যের রপ্তানি নিশ্চিত করতে ঢাকার শ্যামপুরে ‘কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজ’ আধুনিকায়নে ১৫৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত হয়েছে বলেও এ সময় উল্লেখ করেন কৃষিমন্ত্রী।
খাদ্যসচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম ও বিএসটিআইর মহাপরিচালক ড. মো: নজরুল আনোয়ারসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ওয়েবিনারে বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন।