আবারও শিল্প, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। এবার শিল্পে উৎপাদিত নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্রের (ক্যাপটিভ) প্রতি ইউনিট ১৬ থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ভর্তুকি সমন্বয়ে গ্যাসের এ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃহৎ শিল্পে প্রতি ইউনিট গ্যাসের মূল্য ১২ থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ দর বেড়েছে প্রায় ৩ গুণ। তবে সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ১৬ টাকা (ইউনিট প্রতি) অপরিবর্তিত থাকছে।
মাঝারি শিল্পে ব্যবহৃত গ্যাসের দর পৌনে ১২ থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য পৌনে ১১ থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা ঠিক করা হয়েছে।
কিন্তু চা বাগানের ক্ষেত্রে দাম ১২ টাকা অপরিবর্তিত থাকছে। হোটেল ও রেস্তোরাঁ খাতে ব্যবহৃত প্রতি ইউনিটে দর ৩০ টাকা ৫০ পয়সা ধার্য করা হয়েছে। আগে যা ছিল ২৬ টাকা ৬৪ পয়সা।
তবে পরিবহন খাতে ব্যবহৃত সিএনজি এবং বাসায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ায়নি সরকার। আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
গত ১২ জানুয়ারি গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের খুচরা দাম ৫ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এর এক সপ্তাহ না যেতেই বাড়ল গ্যাসের দাম।
গত ৯ জানুয়ারি এক অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, বিশ্ববাজারের সঙ্গে দেশে তেল ও গ্যাসের দাম সমন্বয় করা হবে।
গত বছরের জুনে গ্যাসের মূল্য ২২.৭৮ শতাংশ বাড়ায় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।