পরীমণি বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যারা কাজ করছেন তারা সবাই অবশ্যই চাকরিজীবী নায়ক-নায়িকা। কারণ একজন নায়ক-নায়িকা তার নিজস্ব পছন্দ এবং গতিধারায় থাকবেন। কোন ছবি করবেন, কোনটি করবেন না, তা একটা প্রতিষ্ঠানের অনুমতি নিয়ে কেন করতে হবে! শিল্পীসত্তার স্বাধীনতা জাজ মাল্টিমিডিয়ার চাকরিজীবী নায়ক-নায়িকাদের নেই।’
জাজের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে পরীমণি বলেন, ‘আমি দুই বছর এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করেছি। আমার স্বাধীনতা বলতে কিছুই ছিল না। আমি যখন কাজ করেছি, তখন নিজেকে চাকরিজীবী নায়িকা মনে করেছি। প্রতিমুহূর্তে আমি তা অনুভব করেছি। সবকিছু এই প্রতিষ্ঠানের অনুমতি নিয়ে করতে হয়। এটা আমার জন্য খুব কষ্টের অভিজ্ঞতা।
কারণ, আমি খুব স্বাধীনচেতা একজন মানুষ। ধরেবেঁধে কোনও কাজ আমাকে দিয়ে করানো সম্ভব না। বাধ্য হয়ে কোনও কাজ করতে আমি কখনোই রাজি না।’
সিনেমা ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ ছবিতেই না বুঝে অভিনয় করেছেন বলে মন্তব্য করেন পরীমণি।
তিনি বলেন, ‘স্বপ্নজাল’ আর ‘অন্তরজ্বালা’ ছবি দুটি ছাড়া বাকিগুলোতে না বুঝেই অভিনয় করেছি। আমাকে যেভাবে অভিনয় করতে বলতো, আমি সেটা করেছি। কিন্তু এই দুটি ছবিতে কাজ করতে গিয়ে বুঝেছি চরিত্র কী? কীভাবে চরিত্রের মধ্যে ডুবে গিয়ে অভিনয় করতে হয়।